গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
রামপুরহাটে তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন এবং তৎপরবর্তী ঘটনাপ্রবাহের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। টুইটে এমনটাই দাবি করলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, এই ঘটনা স্থানীয় গ্রাম্য বিবাদ।
সোমবার রামপুরহাটে তৃণমূলের একটি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখকে খুনের ঘটনা ঘটে। তার পর রাত থেকেই শুরু হয় তাণ্ডব। পর পর বাড়িতে আগুন লাগানো হয়। সোমবার রাতে দমকল একটি বাড়ি থেকে তিনটি এবং মঙ্গলবার সকালে একটি বাড়ি থেকে একসঙ্গে সাতটি মৃতদেহ উদ্ধার করে। এই ঘটনার রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূলের মুখপাত্র জানিয়েছেন, এটি একটি গ্রাম্য বিবাদের ঘটনা। তিনি টুইটে লেখেন, আগের দিন তৃণমূলের উপপ্রধানকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়। তিনি জনপ্রিয় ছিলেন। গ্রামবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। রাতে আগুনের ঘটনা ঘটে। পুলিশ, দমকল ব্যবস্থা নিয়েছে।
পরের টুইটে কুণাল লেখেন, ‘সরকার তৎপরতার সঙ্গে যা করার করছে। ওসিকে ক্লোজ করা হয়েছে। এসডিপিও-কে অপসারিত করা হয়েছে। ঘটনার যথাযথ তদন্ত করা হবে। দুর্ঘটনা, না আগের খুনের প্রতিক্রিয়া, না ষড়যন্ত্র, সব খতিয়ে দেখা হবে।’ সেই টুইটেই আবার কুণাল দাবি করেন, ‘এই আগুনের ঘটনায় রাজনীতি নেই।’
প্রসঙ্গত, প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল দাবি করেছিলেন, শর্ট সার্কিট থেকে টিভি ফেটে আগুন ধরে যায় বাড়িতে। তাতেই পুড়ে মৃত্যু হয় একই বাড়ির সাত জনের।
ঘটনার তদন্তের জন্য তিন সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।