রামপুরহাট শহর লাগোয়া সন্ধিপুরে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনের বাড়ি। নিজস্ব চিত্র।
বগটুই গ্রামে দাঁড়িয়ে স্থানীয় ব্লক তৃণমূলের সভাপতি আনারুল হোসেনকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কিছু ক্ষণের মধ্যেই রামপুরহাট শহর লাগোয়া সন্ধিপুরে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে গেল পুলিশ। ঘিরে ফেলা হল ওই তৃণমূলনেতার বাড়ি। যদিও সেই সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না।
বৃহস্পতিবার বগটুই পৌঁছন মমতা। সেখানে তিনি নির্দেশ দেন, হয় আনারুলকে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করতে হবে, নয় তো তাঁকে পুলিশ যেখান থেকে পাবে গ্রেফতার করবে। বৃহস্পতিবারই বগটুইয়ে গিয়ে নিহতদের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করেন মমতা। কথা বলেন তাঁদের সঙ্গে। তার পর তিনি বলেন, এই দুঃখজনক ঘটনায় তাঁর দলের নেতা আনারুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে। তিনি আনারুলকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন। বলেন, ‘‘আনারুলকে হয় থানায় আত্মসমর্পণ করতে হবে, না হয় তাঁকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা হবে।’’
মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশেই পরেই আনারুল নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন সংবাদমাধ্যমে। তিনি বলেন, ‘‘উপপ্রধানের মারা যাওয়ার খবর পেয়ে আমি হাসপাতালে গিয়েছিলাম। হাসপাতাল থেকে থানায় এসেছি। সিসিটিভিতে তার প্রমাণ আছে। কেউ দেখাক আমি ওই সময় গ্রামে গিয়েছিলাম।’’ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের প্রেক্ষিতে আনারুল বলেন, ‘‘আমি নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব।’’
বগটুইবাসীর অভিযোগ, ভাদু শেখের খুনের পর গ্রামে যখন তাণ্ডব চলছে, আনারুলই পুলিশকে তখন গ্রামে ঢুকতে বাধা দিয়েছিলেন। সাহায্যের জন্য তাঁকে বার বার ফোন করা হলেও, তিনি গুরুত্ব দেননি। যদিও আনারুল দাবি করেন, তিনি উপপ্রধানের (ভাদু শেখ) মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তার পর সেখান থেকে থানায় যান। তাঁর আরও দাবি ছিল, সরকারকে বদনাম করতেই তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে।