ফাইল ছবি।
রামপুরহাট-কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে প্রথম গ্রেফতার। মুম্বই থেকে গ্রেফতার চার। সুত্রের খবর, মূল অভিযুক্ত লালন শেখের সঙ্গী বাপ্পা শেখ, সাবু শেখ-সহ আরও দুই অভিযুক্ত গ্রেফতার। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তাঁদের গ্রেফতার করা হয় বলে সিবিআই সূত্রে খবর। ট্রানজিট রিমান্ডে তাঁদের বাংলায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সিবিআই চেষ্টা করছে শুক্রবার সকালেই ধৃতদের রামপুরহাটে নিয়ে আসতে।
গত ২১ মার্চ রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে একের পর এক বাড়িতে আগুন ধরানোর ঘটনা ঘটে। সিবিআই সূত্রের খবর, সে দিন মূল অভিযুক্ত লালন শেখের সঙ্গেই গ্রামে ঘুরে ঘুরে তাণ্ডব চালিয়েছিলেন ধৃত বাপ্পা, সাবুরা। ঘটনার পরই অভিযুক্তরা গ্রাম ছেড়ে চম্পট দেন। সিবিআই গোপন সূত্রে খবর পায়, অভিযুক্তদের মধ্যে কয়েকজন পালিয়ে মুম্বই পৌঁছেছেন এবং সেখানেই গা ঢাকা দিয়ে আছেন। সেই খবর মতোই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তল্লাশি অভিযান শুরু করে সিবিআইয়ের ছ’জনের দল। পাশাপাশি চলতে থাকে মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাকও। দুপুর নাগাদ চার জনকেই গ্রেফতার করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা।
বগটুই কাণ্ডে দায়ের হওয়ার এফআইআরে ১৩ নম্বরে রয়েছে বাপ্পা শেখের নাম, ১৫ নম্বরে রয়েছে সাবু শেখের নাম। তাঁদের সঙ্গেই রয়েছেন আরও দুই গ্রামবাসী, যাঁরা ওই দিন তাণ্ডবের ঘটনায় যুক্ত ছিলেন বলে মনে করছে সিবিআই। তবে তাঁদের নাম এখনই জানাতে চাননি তদন্তকারীরা।
সিবিআই বগটুইয়ের ঘটনার তদন্তে নেমেই জানতে পারে, ওই গ্রামের বেশ কয়েকজন যুবক মুম্বইয়ে শ্রমিকের কাজ করেন। তাই অভিযুক্তরা পালিয়ে মুম্বইয়ে যেতে পারেন বলে ধারণা ছিল তদন্তকারীদের। সেই অনুযায়ী, মুম্বইয়ে খোঁজখবর করা শুরু করেন তাঁরা। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, রামপুরহাটের ওই এলাকার কয়েকজনের সাহায্য নিয়ে অভিযুক্তরা লুকিয়ে রয়েছেন মুম্বইয়ে। তার পরই মোবাইল টাওয়ার দেখে অভিযান চালিয়ে চার জনকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা।