—নিজস্ব চিত্র
বগটুই গ্রামে এখন আর শ্মশানের নিস্তব্ধতা নেই। মুখ্যমন্ত্রী আসা উপলক্ষে সাজসাজ রব। প্রায় গ্রামবাসী-হীন গ্রাম জুড়ে শুধু পুলিশ আর সংবাদিকদের ভিড়। ইতিউতি চোখে পড়ছে দু’একজন গ্রামবাসীকে। তাঁদের চোখে শুধু শঙ্কা আর আতঙ্ক।
ভাদু শেখ যেখানে খুন হয়েছিলেন, তার ঠিক অদূরেই একটি দোকান খোলা। মুদির দোকান। সেখানে আলু, পেঁয়াজের সঙ্গে মেলে চুড়ি-বালাও। দোকান সামলাচ্ছেন এক মাঝবয়সি মহিলা, সঙ্গে রয়েছে একটি শিশুও। তিনি জানালেন, গ্রাম প্রায় পুরুষ-শূন্য। ওই মহিলার কথায়, ‘‘গ্রামে তো খালি পুলিশ আর পুলিশ। কিন্তু মানুষ কই। পুরুষ মানুষরা কেউ ঘরে নেই। সবাই ঘর ছেড়ে চলে গিয়েছেন। আমি দোকান খুলেছি।’’ তাঁর পরিবারের ছেলেরাও ঘর ছেড়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। দোকানে খদ্দের হবে না জেনেও তিনি তা খুলেছেন। তিনি বলেন, ‘‘গ্রামে লোক কই যে দোকানে বিক্রি হবে। সকাল থেকে খালি জল বিক্রি হয়েছে।’’ পুলিশ আর সাংবাদিকরা পানীয় জন কিনেছেন।
দোকান থেকে কয়েক পা হাঁটলেই ফটিক শেখের বাড়ি। ৭২ ঘণ্টা আগে যে বাড়ি কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সেখান গিয়ে দেখা গেল আগুন পুরোপুরি নেভেনি। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে ধিকধিক জ্বললে আগুন। এ দিক সে দিক পড়ে আছে আধপোড়া খড়। তা চিবোচ্ছে দু’টি গরু। আর মাঝে মাঝে মালিকের পুড়ে যাওয়া বাড়িটার দিকে তাকাচ্ছে শূন্য দৃষ্টিতে।