বেলুড় মঠ। — ফাইল চিত্র।
রামকৃষ্ণ মিশন পরিচালন সমিতির ২০২২-’২৩ অর্থবর্ষের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে রবিবার (১৭ ডিসেম্বর ২০১৩)। বেলুড় মঠে আয়োজিত ১১৪তম এই বার্ষিক সাধারণ সভায় নানা বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
বার্ষিক সাধারণ সভায় রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের কার্যবিবরণী বিষয়ে মিশনের পরিচালন সমিতির প্রতিবেদন পেশ করেন। ওই প্রতিবেদনে রামকৃষ্ণ মিশনের বিভিন্ন শাখার নানা পুরস্কার এবং সম্মানপ্রাপ্তির পাশাপাশি কর্মসূচির বিস্তারিত পরিসংখ্যান রয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ব্যারাকপুরের গান্ধী স্মারক সংগ্রহালয় রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনকে তাদের সামাজিক কর্মসূচির স্বীকৃতিতে ‘মহাত্মা গান্ধী স্মৃতি পুরস্কার’ প্রদান এবং ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল (ন্যাক) রহড়ার বিবেকানন্দ সেন্টিনারি কলেজকে ‘এ প্লাস প্লাস’ গ্রেড আর কোয়ম্বত্তূর মিশন বিদ্যালয়ের কলেজ অফ এডুকেশন আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স ও মারুতি কলেজ অফ ফিজিক্যাল এডুকেশনকে ‘এ প্লাস’ গ্রেড প্রদানের কথা। রয়েছে, রামকৃষ্ণ মিশন পরিচালিত বেলুড়, নরেন্দ্রপুর, রহড়া এবং কোয়ম্বত্তূর কলেজের কেন্দ্রীয় শিক্ষান্ত্রকের ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনাল র্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্ক’-এ স্থান পাওয়ার কথাও।
উত্তরাখণ্ডের দেহরাদূনের বিবেকানন্দ নেত্রালয় এবং কর্নাটকের মাইসুরুর আশ্রমের সামাজিক কর্মকাণ্ডের জন্য সরকারি সম্মাননা পাওয়ার কথাও রয়েছে প্রতিবেদনে। উল্লিখিত হয়েছে, ‘নরেন্দ্রপুর ব্লাইন্ড বয়েজ অ্যাকাডেমি’র রাজ্য সরকারের দেওয়া পুরস্কার প্রাপ্তির কথা। বেশ কিছু নতুন শাখাও চালু করার কথা জানানো হয়েছে বার্ষিক সাধারণ সভার প্রতিবেদনে। তার মধ্যে রয়েছে, বাংলার জলপাইগুড়ি জেলার লাহুডাঙ্গি হাট, গুজরাতের ভুজ, তামিলনাড়ুর চেনগাঁও, তেলঙ্গানার যদাদ্রি ভুবনগিরি শাখা।
বিদেশে রামকৃষ্ণ মিশনের শাখাগুলির গত এক বছরের ভূমিকার কথা বার্ষিক প্রতিবেদনে রয়েছে। বাংলাদেশের বালিয়াটি শাখাকেন্দ্রের নবনির্মিত শ্রীরামকৃষ্ণ-মন্দির, আমেরিকার শিকাগো মঠের নতুন বিভাগ ‘হোম ফর হারমনি’ চালু এবং শ্রীলঙ্কা সরকারের তরফে কলম্বো ও বাত্তিকালোয়ায় রামকৃষ্ণ মিশন পরিচালিত দু’টি ‘রবিবাসরীয় ধর্মীয় বিদ্যালয়’-এর পুরস্কার প্রাপ্তির কথা রয়েছে এই তালিকায়। রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বর্তমানে বিশ্বের ২৪টি দেশে ৯৬টি শাখা এবং উপকেন্দ্রের মাধ্যমে সামাজিক উন্নয়নের কাজ পরিচালিত হচ্ছে।