রাজ্যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতির প্রতিবাদে আজ, শুক্রবার ফের পথে নামছেন বিশিষ্টরা। শিক্ষা ক্ষেত্রে একের পর এক নৈরাজ্য, লাগাতার খুন-ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মৌনী মিছিলে পা মেলাবেন তাঁরা। কেতুগ্রামে ছাত্রীকে তাড়া করে খুন এবং সবংয়ে কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যে এক ছাত্রের হত্যার সাম্প্রতিক ঘটনাই বিশিষ্টদের ফের বড় আকারে পথে নামতে বাধ্য করেছে। কামদুনিতে ধর্ষণ করে এক ছাত্রীকে হত্যার ঘটনার পরে শেষ বার এই ধরনের মিছিল হয়েছিল।
রাজ্যের সাহিত্যিক, শিল্পী, আইনজীবী এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টদের মঞ্চ ‘নাগরিক সমাজ’-এর উদ্যোগে এই ‘অরাজনৈতিক’ মিছিলে অবশ্য দলীয় পতাকার বাইরেই কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বেরও থাকার কথা। এই মঞ্চের আহ্বায়কদের মধ্যে লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়, বিধানসভার প্রাক্তন স্পিকার হাসিম আব্দুল হালিম, অশোক মিত্র, অমিয়
বাগচী, চলচ্চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদার, কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী রয়েছেন। অন্যতম আয়োজক হিসেবে কংগ্রেসের অরুণাভ ঘোষ, প্রাক্তন বাম মেয়র বিকাশ ভট্টাচার্যের পাশাপাশি মিছিলে থাকার কথা বিজেপি
নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের। দলের তরফে ওই মিছিলে যাওয়ার অনুমতিও এ বার রূপা পেয়েছেন বলে বিজেপি সূত্রের খবর। তবে রাজনৈতিক পরিচয়ে নয়, ব্যক্তি হিসেবেই তিনি মিছিলে শরিক হবেন বলে রূপা জানিয়েছেন।
কামদুনি-কাণ্ডের পরেও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতির প্রতিবাদে ধারাবাহিক ভাবে বিভিন্ন সভায় সরব হয়েছেন বিদ্বজ্জনেরা। এ বার আবার তাঁরা সম্মিলিত ভাবে পথে নামার সময় কবি শঙ্খ ঘোষকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। শঙ্খবাবুও বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, মিছিলে যেতে না পারলেও এই প্রতিবাদে তাঁর নৈতিক সমর্থন আছে। শহরের বাইরে থাকায় মিছিলে আসতে পারবেন না তবে নৈতিক সমর্থন আছে চিত্রপরিচালক অপর্ণা সেনের। রাজ্যের প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডেও এই প্রতিবাদকে সমর্থনের কথা জানিয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে।