DYFI

ধৃত নেতার মুক্তি চেয়ে পথে কলতান বামেদের

সৃজন ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘‘গণ-আন্দোলনকে ভাঙতে তৃণমূল নানা রকম চেষ্টা করে যাচ্ছে। চক্রান্ত করেই কলতানদা’কে ফাঁসানো হয়েছে। তবে এই ভাবে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:০১
Share:

কলতান দাশগুপ্তের মুক্তির দাবিতে সিপিএমের ছাত্র, যুব ও মহিলা সংগঠনের মিছিল। —নিজস্ব চিত্র।

অডিয়ো-ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ধৃত যুব নেতা কলতান দাশগুপ্তের মুক্তির দাবিতে ফের পথে নামল সিপিএম। দলের ছাত্র, যুব ও মহিলা সংগঠনের ডাকে সোমবার হেদুয়া থেকে মিছিল হল শ্যামবাজার পর্যন্ত। ‘তিলোত্তমা হারবে না, কলতান থামবে না’— এই স্লোগান সামনে রেখে মিছিলে এসএফআই, ডিওয়াইএফআই, গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির নেতৃত্বের পাশাপাশি শামিল হয়েছিলেন শিক্ষা ও সংস্কৃতি জগতের বেশ কিছু ব্যক্তিত্বও। তাঁদের সকলেরই অভিযোগ, আন্দোলনকে ভাঙতে ‘চক্রান্ত’ করে ডিওয়াইএফআই নেতা কলতানকে ফাঁসানো হয়েছে।

Advertisement

একটি অডিয়ো-ক্লিপ সামনে এনে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেছিলেন, স্বাস্থ্য ভবনের কাছে জুনিয়র চিকিৎসকদের ধর্নায় হামলা চালানোর ষড়যন্ত্র হয়েছিল রাজ্য প্রশাসন ও শাসক দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য। তার পরেই সঞ্জীব দাস নামে গড়ফার এক যুবক এবং কলতানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের ৭ দিনের পুলি‌শি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বিধাননগর এসিজেএম আদালত। কলতানের তরফে আজ, মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন করার কথা। তার আগে পথে নেমে এ দিন সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য সৃজন ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘‘গণ-আন্দোলনকে ভাঙতে তৃণমূল নানা রকম চেষ্টা করে যাচ্ছে। চক্রান্ত করেই কলতানদা’কে ফাঁসানো হয়েছে। তবে এই ভাবে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।’’ অভিনেতা চন্দন সেনের বক্তব্য, ‘‘আর জি কর হাসপাতালে খুন ও ধর্ষণের ঘটনার পরে চিকিৎসক-ছাত্রীর দেহ বার করার সময়ে বাধা দিয়েছিলেন যাঁরা, তার মধ্যে ছিলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, কলতান দাশগুপ্তেরা। পুলিশ জানে মীনাক্ষীকে ছুঁলে এখন আগুন জ্বলবে। তাই কলতানকে ধরেছে। আন্দোলনে ভাঙন ধরিয়ে নজর ঘোরাতে চাইছে।’’ বামেদের এ দিন বিক্ষোভ-সভাও হয়েছে বেশ কিছু থানা ও নানা এলাকায়।

এরই মধ্যে সিপিএমে বিতর্ক বেধেছে সমাজমাধ্যমে কলকাতা পুরসভার ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডের পুর-প্রতিনিধি নন্দিতা রায়ের পোস্ট ঘিরে। আর জি কর-কাণ্ডে গ্রেফতার টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের পাশে দাঁড়িয়ে নন্দিতা মন্তব্য করেছিলেন, ওসি-কে ফাঁসানো হয়েছে। বিতর্ক শুরু হতে পরে তিনি পোস্ট মুছে দিয়েছেন। দলীয় সূত্রের খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সিপিএম পূর্ব যাদবপুর এরিয়া কমিটির মাধ্যমে নন্দিতার ব্যাখ্যা চেয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ থেকে তারা সরছে না বলেও বুঝিয়ে দিয়েছে সিপিএম।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement