মুখ্যসচিব হচ্ছেন রাজীব সিংহ 

১৯৮৬ ব্যাচের আইএএস রাজীব সিংহ কোচবিহারের জেলাশাসক ছিলেন। কাজ করেছেন কলকাতা পরিবেশ উন্নয়ন প্রকল্পের প্রধান হিসেবে। ইউনিসেফ-এর প্রকল্পেও বেশ কয়েক বছর কাটিয়ে এসেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৪:৪৩
Share:

রাজীব সিংহ। ফাইল চিত্র

রাজ্যের নতুন মুখ্যসচিব হচ্ছেন রাজীব সিংহ। বর্তমানে তিনি স্বাস্থ্য দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব পদে রয়েছেন। বৃহস্পতিবারই এই সংক্রান্ত আদেশনামা প্রকাশিত হয়েছে। আগামী সোমবার বর্তমান মুখ্যসচিব মলয় দে অবসর নিচ্ছেন। সেদিনই দায়িত্ব নেবেন রাজীববাবু।

Advertisement

১৯৮৬ ব্যাচের আইএএস রাজীব সিংহ কোচবিহারের জেলাশাসক ছিলেন। কাজ করেছেন কলকাতা পরিবেশ উন্নয়ন প্রকল্পের প্রধান হিসেবে। ইউনিসেফ-এর প্রকল্পেও বেশ কয়েক বছর কাটিয়ে এসেছিলেন। পরবর্তী কালে রাজ্যের শিল্প, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, স্বাস্থ্য দফতরের সচিব হিসেবেও কাজ করেছেন। এখন তাঁর কাঁধে মুখ্যসচিবের গুরুদায়িত্ব এল।

রাজ্যে কর্মরত আইএএস অফিসারদের মধ্যে এখন সবচেয়ে সিনিয়র ১৯৮৪ ব্যাচের সতীশচন্দ্র তেওয়ারি। তিনি এখন রাজ্যপালের সচিব পদে কর্মরত। তাঁর পরেই রয়েছেন ১৯৮৫ ব্যাচের দেবাশিস সেন। তিনি ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে অবসর নেবেন। সরকার এই দু’জনের পরিবর্তে রাজীব সিংহকেই মুখ্যসচিব পদে বেছে নিয়েছে। ১৯৮৬ ব্যাচের এই অফিসার আগামী বছর সেপ্টেম্বর মাসে অবসর নেবেন। এক বছর তিনি মুখ্যসচিব পদে থাকছেন। তার পরে স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যসচিব হওয়ার ব্যাপারে জল্পনা এখনই শুরু হয়েছে।

Advertisement

সব কিছু সময় ও পরিকল্পনা মতো হলে রাজীববাবুকে রাজ্যের পুর নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। কেন্দ্র-রাজ্য দ্বৈরথের আবহে এক দিকে যেমন উন্নয়নের বরাদ্দ দিল্লি থেকে নিয়ে আসার দায়িত্ব তাঁর থাকছে, তেমনই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার ভারও তাঁকে নিতে হবে বলে আমলা মহলের দাবি। তবে পরের বিধানসভা নির্বাচনের আগে নতুন মুখ্যসচিব এসে যাবেন। সে দিক দিয়ে রাজীববাবুর কার্যকাল তুলনামূলক ভাবে ‘বিবাদহীন’ থাকবে বলেই ধরে নিচ্ছেন তাঁর সতীর্থরা।

রাজ্যের আমলা স্তরে আরও কিছু রদবদল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আলাপন আগের মতোই স্বরাষ্ট্র, পরিষদীয়, শিল্প বাণিজ্য এবং ক্ষুদ্র ও ছোট শিল্প দফতরের দায়িত্বে থাকবেন।

নতুন স্বাস্থ্যসচিব হচ্ছেন সঙ্ঘমিত্রা ঘোষ। নবীন প্রকাশ সেচের সঙ্গে পাচ্ছেন পূর্ত দফতরের দায়িত্ব। পূর্ত থেকে অর্ণব রায় যাচ্ছেন কর্মিবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতরের দায়িত্বে। কর্মিবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতরের সচিব প্রভাতকুমার মিশ্র পরিবেশের সঙ্গে জলসম্পদ দফতরের দায়িত্ব পাচ্ছেন। যুব ও ক্রীড়া দফতরের দায়িত্ব পাচ্ছেন ছোটেন ডি লামা। এস কিশোর যাচ্ছেন মৎস্য দফতরে। হৃদেশ মোহন সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের নতুন সচিব হচ্ছেন। সঙ্ঘমিত্রা ঘোষ ছিলেন শিশু, নারী ও সমাজকল্যাণ দফতরে। সেখানে নতুন সচিব হবেন বিনোদ কুমার। সুব্রত বিশ্বাস যাচ্ছেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন সচিব হয়ে। অনগ্রসর দফতরের সচিব হচ্ছেন নীলম মিনা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement