মমতার ছবি হাতে বিধানসভার বাইরে রাজীব। ছবি: পিটিআই।
ছবিটা এত দিন টাঙানো ছিল মন্ত্রী হিসাবে পাওয়া বিধানসভায় তাঁর ঘরে। শুক্রবার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিধানসভা ভবন ছাড়ার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই বিশাল ছবিই হাতে করে নিয়ে বেরোলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, দলনেত্রী মমতা তাঁর কাছে মায়ের মতো। সেই মায়ের কোনও অবমাননা তিনি করতে পারবেন না। সে কারণেই ছবি নিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন রাজীব।
মন্ত্রিত্ব ছেড়েছিলেন আগেই। শুক্রবার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পাশাপাশি তৃণমূলের সঙ্গেও সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন রাজীব। দল ছাড়ার চিঠি পাঠিয়েও দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রীকে। তার আগে শুক্রবার বিধানসভায় এসে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নিজের ইস্তফাপত্র জমা দেন ডোমজুড়ের বিধায়ক রাজীব। মন্ত্রী হিসাবে বিধানসভায় তাঁর একটি ঘর ছিল। গত ২২ জানুয়ারি মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর সেই ঘরের সামনে থেকে তাঁর নামের ফলক সরিয়ে ফেলা হয়। ঘরে থেকে গিয়েছিল মমতার একটি বিশাল ছবি। সেই ছবি নিয়ে বেরনোর সময় রাজীব বলেন, ‘‘দলনেত্রী আমার কাছে মায়ের মতো। উনি আমার দ্বিতীয় মা। এত দিন মাথার পিছনে সব সময় ওঁর ছবি থাকত। আগামী দিনেও ছবিটা আমার কাছে থাকবে।’’
এর আগে মন্ত্রিত্ব ছাড়ার দিন রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে বেরনোর সময় আবেগপ্রবণ রাজীবকে কাঁদতেও দেখা গিয়েছিল। রাজীব সেই সময় জানিয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে কোনও কথা না বলে সেচমন্ত্রীর পদ থেকে তাঁকে আড়াই বছর আগে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী ‘ন্যূনতম সৌজন্য’ দেখাননি বলেও অভিযোগ করেছিলেন রাজীব। কিন্তু তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্কের শেষ সুতোটা ছিঁড়ে ফেলার আগের মুহূর্তে সেই রাজীবকেই বলতে শোনা গেল মমতা তাঁর ‘দ্বিতীয় মা’। তিনি আরও বলেন, ‘‘ওঁর জন্যই বিধানসভার সদস্য হওয়ার সুযোগ পেয়েছি। আমাকে বিধায়ক হওয়ার সুযোগ উনিই করে দিয়েছিলেন। ওঁর জন্যই মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। কখনও ওঁর অবমাননা করতে পারব না আমি।’’