TMC

কর্মীদের ‘চাকর-বাকর’ মনে করেন অনেক তৃণমূল নেতা, ফের বেসুরো মন্ত্রী রাজীব

হাওড়ার বালিতে ফের তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন রাজীব।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বালি শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২১ ১৮:৪৬
Share:

ফের দলের অস্বস্তি বাড়ালেন রাজীব। — ফাইল চিত্র

অনেক দিন ধরেই বেসুরো ডোমজুড়ের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রকাশ্যে দলের সমালোচনা থেকে তাঁকে বিরত রাখার জন্য তাঁর সঙ্গে দু’দফায় বৈঠকও করেছেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু তাতেও যে কাজের কাজ হয়নি তা স্পষ্ট হল রবিবার। হাওড়ার বালিতে ফের তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন তিনি। রাজীব বলেন, ‘‘বেশ কিছু নেতা দলের কর্মীদের চাকর বাকর ভেবে তাঁদের ভাবাবেগ নিয়ে খেলেন। এঁদের জবাব কর্মীরাই দেবেন। কর্মীরাই ওই সব নেতাকে ক্ষমতাচ্যুত করবেন।’’

Advertisement

রবিবার বালিতে একটি রক্তদান শিবিরে যান রাজীব। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘যে সব নেতা কাচের ঘরে বসে অন্যের ঘরে ঢিল ছোড়েন তাঁদের নিজেদের আগে আয়নায় মুখ দেখা উচিত, তাঁরা কী ছিলেন আর কী হয়েছেন।’’ এই সব নেতা আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে আর জিততে পারবেন না বলেও মন্তব্য করেন রাজীব। তবে কারও নামই উল্লেখ করেননি তিনি। তাঁর অভিযোগ তৃণমূলে অনেক কর্মীই এখন প্রাপ্য সম্মান পাচ্ছেন না।

হাওড়া জেলার আর এক বিধায়ক তথা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে যে রাজীবের বনিবনা নেই তা সুবিদিত। ১ জানুয়ারি দলের প্রতিষ্ঠা দিবসেও দুই নেতার দূরত্ব সামনে এসেছে। তবে শুধু অরূপ নয়, দলের বিরুদ্ধেই রাজীবের ক্ষোভ সামনে এসে যায় গত ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। ৫ ডিসেম্বর দক্ষিণ কলকাতার একটি ‘অরাজনৈতিক’ কর্মসূচিতে গিয়ে, দল সম্পর্কে সোজাসাপ্টা উষ্মা প্রকাশ করে রাজীব বলেন, ‘‘স্তাবকতা করতে পারলে নম্বর বেশি। ভালকে খারাপ, খারাপকে ভাল বলতে পারি না তাই আমার নম্বর কম। অন্যদের বেশি।’’ দলের অন্দরে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের উত্থান’ নিয়েও সরব হন। রাজীবের কথায়, ‘‘যাঁরা দুর্নীতিগ্রস্ত তাঁরা স্তাবক বলে সামনের সারিতে। যখন মানুষ ভাল কাজ করতে আসেন, তখন পিছন থেকে টেনে ধরেন।’’

Advertisement

রাজীবের এ হেন বিদ্রোহে লাগাম দিতে গত ১৩ ডিসেম্বর পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁর নাকতলার বাড়িতে বৈঠক করেন। এর পরে ২১ ডিসেম্বর হয় দ্বিতীয় বৈঠক। সে দিন বৈঠক শেষে রাজীব বলেছিলেন, ‘‘দলীয় নেতৃত্ব বৈঠকে ডেকেছেন। তাই আমি এসেছি। যে কথা হয়েছে, তা দলের কথা। দলের কথা দলেই থাকুক। সংবাদমাধ্যমে বলা উচিত নয়।’’ তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছিল পার্থ-রাজীব দ্বিতীয় বৈঠকেও রফা সূত্র মেলেনি। রবিবার সেটাই স্পষ্ট হয়ে গেল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement