কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার রাজীব কুমার। নিজস্ব চিত্র।
কমবেশি বছর চারেক আগে তিনি লালবাজারের শীর্ষ পদে থাকাকালীন তাঁর বাড়িতে সিবিআইয়ের প্রবেশ ঘিরে তুমুল শোরগোল হয়েছিল। কলকাতা পুলিশের এ-হেন প্রাক্তন কমিশনার রাজীব কুমারকে আসন্ন গঙ্গাসাগর মেলার ব্যবস্থাপনায় বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং তা নিয়ে ফের জল্পনা শুরু হয়েছে প্রশাসনের অন্দরে। বুধবার সাগরমেলার প্রস্তুতি বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, মেলার নিরাপত্তা এবং নজরদারির দায়িত্বে থাকবেন সিনিয়র পুলিশকর্তারা। সেই তালিকায় অন্য আইপিএস অফিসারদের সঙ্গে রাজীব কুমারকেও থাকতে বলেন মমতা। প্রতি বারের মতো নেতা-মন্ত্রীরাও মেলা ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পেয়েছেন।
রাজীব ২০১৯ সালে যখন কলকাতার পুলিশ কমিশনার ছিলেন, সেই সময় সিবিআই তাঁর বাসভবনে হাজির হয়। তার পরে সেই জল গড়িয়েছিল অনেক দূর। সেই বছরেই কলকাতার পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে সিআইডি-তে বদলি করা হয় রাজীবকে। পরে তাঁকে তথ্য ও প্রযুক্তি দফতরের সচিবের দায়িত্ব দেয় রাজ্য সরকার। সেই থেকে এখনও তিনি ওই দফতরেরই দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। এখন সাগরমেলার নিরাপত্তা ও নজরদারির দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশকর্তার দলে তাঁর অন্তর্ভুক্তি ঘিরে জল্পনা বাড়ছে।
সাগরমেলায় কোন পুলিশকর্তাকে কী ভূমিকা পালন করতে হবে, তা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, ‘‘১৪ এবং ১৫ জানুয়ারি আইজি (আইনশৃঙ্খলা) মনোজ বর্মা সাগরে থাকবেন। রাজীব কুমার ডিজিটাল এবং ইন্টেলিজেন্স দেখে নেবেন। ডিজি থাকবেন গঙ্গাসাগরে। মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিব নবান্ন থেকেই নজরদারি করবেন।’’ মমতা জানিয়েছেন, স্টোভ বা বন্দুক নিয়ে কেউ যাতে মেলায় ঢুকতে না-পারে, সেই ব্যবস্থা রাখতে হবে। মেলার পরিবেশ নষ্ট করা বা উত্তেজনা ছড়ানোর প্রচেষ্টা কড়া হাতে ঠেকানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
রাজ্য সরকার জানিয়েছে, গত বছর অন্তত ২০ লক্ষ মানুষ সাগরমেলায় গিয়েছিলেন। এ বার সেই সংখ্যা ৩০ লক্ষ পেরিয়ে যেতে পারে বলে মনে করছে নবান্ন। তাই মেলার সামগ্রিক প্রস্তুতিতে কোনও রকম ফাঁকফোকর রাখা হচ্ছে না।