রাজীব কুমার। —ফাইল চিত্র।
সারদার পর এ বার রোজভ্যালি কাণ্ডেও কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার রাজীব কুমারকে নোটিস দিল সিবিআই।
রাজ্যের গোয়েন্দা প্রধান রাজীব কুমারের খোঁজে হন্যে হয়ে শহর জুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। খোঁজ চলছে ভিন্ রাজ্যেও। এই তল্লাশি অভিযানের পাশাপাশি রবিবার ফের রাজীব কুমারের স্ত্রী সঞ্চিতা কুমারের সঙ্গে কথা বললেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এ দিন দুপুরে ৩৪ নম্বর পার্ক স্ট্রিটে রাজীবের বাসভবনে পৌঁছন সিবিআই কর্তারা। ওই দলে ছিলেন এক মহিলা আধিকারিকও। সিবিআইয়ের একটি সূত্রে খবর, কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন কমিশনারের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি এ বার রোজভ্যালি কাণ্ডেও রাজীব কুমারকে নোটিস দেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে।
রাজীব কুমারকে গ্রেফতার না করার কলকাতা হাইকোর্টের যে ‘রক্ষাকবচ’ ছিল, গত শুক্রবার তা খারিজ হয়ে যায়। তার পরেই সারদা-কাণ্ডে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিস দেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। কিন্তু, তিনি হাজিরা না দিয়ে এখনও পর্যন্ত নিরুদ্দেশ রয়েছেন। আলিপুর জেলা ও দায়রা আদালতে তাঁর আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় তিনি রোজভ্যালি কাণ্ডের নোটিস পেয়ে আদৌ সিবিআই দফতরে হাজিরা দেবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: পুলিশ কেন ডাকেননি উপাচার্য, বেসুরো সুব্রত মুখোপাধ্যায়
আরও পড়ুন: রাজীব কুমারের খোঁজে ভবানী ভবনেও হানা দিল সিবিআই
এ দিন পার্ক স্ট্রিট ছাড়াও কলকাতার বেশ কয়েকটি এলাকায় তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সে কলকাতা পুলিশের কন্ট্রোল রুমেও পৌঁছে গিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। তল্লাশির পাশাপাশি এ দিন সল্টেলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে রাজীবের দেহরক্ষীকে জেরা করা হয়েছে। রাজীবের আত্মগোপনে সাহায্যকারী কয়েক জন ব্যবসায়ীর নামও উঠে আসছে। তাঁদের কী ভূমিকা রয়েছে, তা-ও খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। সিবিআইয়ের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজীব-ঘনিষ্ঠ এক পুলিশ কর্তাকেও নোটিস পাঠানো হয়েছে। তিনি রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি-র প্রাক্তন আধিকারিক।