রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। ফাইল চিত্র।
নতুন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার কে হবেন, তা নিয়ে জট অব্যাহত থাকল সোমবারেও। রবিবারই আগের কমিশনার সৌরভ দাস তাঁর কার্যকালের মেয়াদ শেষ করেছেন। এখন কমিশনের ওই পদ ফাঁকাই রয়েছে। সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে রাজভবন থেকে সম্প্রতি তৃতীয় একটি নাম চাওয়া হয়েছে ওই পদের জন্য। যদিও এ ব্যাপারে রাজভবন বা নবান্ন থেকে সরাসরি কোনও স্পষ্ট বার্তা পাওয়া যায়নি।
গত ১৮ মে প্রাক্তন মুখ্যসচিব রাজীব সিংহের নাম ওই পদের জন্য প্রস্তাব করে রাজভবনে ফাইল পাঠিয়েছিল নবান্ন। কিন্তু একক নামে ছাড়পত্র দিতে নারাজ ছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাজভবনের সেই বার্তা পেয়ে দ্বিতীয় নাম হিসেবে রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব পদমর্যাদার অফিসার অজিতরঞ্জন বর্ধনের নাম প্রস্তাব করে নবান্ন। সূত্রের খবর, এর পরেও তৃতীয় নাম চেয়ে পাঠিয়েছে রাজভবন। তবে তাতে কার নাম প্রস্তাব করা হবে, তা অবশ্য এ দিন রাত পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি বলেই নবান্ন সূত্রের খবর।
অতীতে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল কি না, তা মনে করতে পারছেন না প্রবীণ আমলাদের অনেকেই। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এই ব্যাপারে রাজভবনের এক্তিয়ার অনেকটাই সীমিত। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসাবে রাজ্য সরকারই কোনও নাম বেছে নেয়। সাধারণত তাতেই সিলমোহর দেন রাজ্যপাল। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সেই রীতিতে ব্যতিক্রম ঘটছে বলেই মনে করছেন প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকেরা। তাঁদের আরও বক্তব্য, দিনক্ষণ চূড়ান্ত এখনও না-হলেও পঞ্চায়েত ভোট আসন্ন। ফলে তার প্রস্তুতিতে শীঘ্রই নতুন কমিশনার নিয়োগ করা জরুরি। এ ক্ষেত্রে কবে বিষয়টি স্পষ্ট হবে, তার কোনও ইঙ্গিত মিলছে না নবান্নের তরফে। যদিও সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, প্রাক্তন কমিশনার এ কে সিংহের অবসরের বেশ কিছু দিন পরে দায়িত্ব নিয়েছিলেন সৌরভ দাস। ফলে সাংবিধানিক দিক থেকে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।