প্রতীকী ছবি।
কলকাতা হাই কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি এখনই কার্যকর নয়। পিপি নিয়োগের পদ্ধতি মানা হয়নি বলে জানাল রাজভবন। রাজভবন সূত্রে খবর, পিপি নিয়োগের জন্য তিনটি নাম দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে রাজ্য এক জনের নাম দিয়েছিল।
রাজভবনের এই সিদ্ধান্তের ফলে পিপি নিয়োগ নিয়ে জটিলতা তৈরি হল। ফলে আপাতত ঝুলে রইল পিপি দেবাশিস রায়ের নিয়োগ। তবে নবান্ন সূত্রে খবর, দেবাশিস এখন পিপি ইনচার্জ হিসাবে কাজ সামলাবেন। গত ৭ নভেম্বর রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, শাশ্বতগোপাল মুখোপাধ্যায়ের জায়গায় রাজ্যের নতুন পিপি পদের দায়িত্ব নেবেন আইনজীবী দেবাশিস রায়। প্রায় সাড়ে ছ’বছর আইন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ওই পদে ছিলেন শাশ্বত।
২০১৭ সালে শাশ্বতকে পিপি পদে নিয়োগ করেছিল রাজ্য সরকার। সেই থেকে টানা ওই পদে ছিলেন তিনি। শাশ্বতের আগে একাধিক বার পিপি পরিবর্তন করেছে রাজ্য। কিন্তু তৃণমূল জমানায় কোনও এক ব্যক্তি এত দিন ওই পদে ছিলেন না। ‘সরকার-ঘনিষ্ঠ’ আইনজীবী বলেও তাঁর পরিচিতি রয়েছে। রাজ্যের সাম্প্রতিক কালের অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলায় তিনি রয়েছেন। সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস মামলায় রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেছিলেন ওই আইনজীবী। এ ছাড়াও পার্ক স্ট্রিটকাণ্ড, নারদ স্টিং অপারেশন, বগটুইকাণ্ডের একটি মামলাতেও তিনি পিপি ছিলেন।
পিপি বদল নিয়ে যখন রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে, তার পরই শাশ্বত দাবি করেন, কোনও আলোচনা না করেই পিপি বদল করা হয়েছে। গত ৭ নভেম্বর আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বলেছিলেন, “এ নিয়ে বিতর্ক চাই না। সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। এত বছর পদে থেকে কাজ করেছি। আমার সঙ্গে কোনও আলোচনা ছাড়াই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।”
হাই কোর্টে ফৌজদারি কার্যবিধির সব মামলার দেখভালের দায়িত্বে থাকেন পিপি। আদালত সংক্রান্ত আইন বিভাগের অনেক প্রশাসনিক সিদ্ধান্তও তাঁকে নিতে হয়।