প্রতীকী ছবি।
ঝড়বৃষ্টি মিলছে বটে। কিন্তু জ্যৈষ্ঠের শেষে রাজ্যবাসীকে নাকাল করছে ভ্যাপসা গরম। এ বছর মারাত্মক তাপপ্রবাহ মেলেনি ঠিকই, কিন্তু তাতে গরমের অস্বস্তি থেকে রেহাই নেই। এই পরিস্থিতিতে আম-বাঙালির মনে প্রশ্ন, বর্ষাকাল কবে আসবে?
নির্ঘণ্ট অনুযায়ী ১১ জুন বঙ্গে বর্ষা আসার কথা। তবে নির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঘোষণা এখনও সরকারি ভাবে হয়নি। তবে মৌসুমি বায়ুর গতিপ্রকৃতি দেখে আবহবিজ্ঞানীদের অনেকেরই অভিমত, আগামী সপ্তাহে রাজ্যে ঢুকে পড়তে পারে বর্ষা।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস বলছেন, ‘‘আগামী সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে চলেছে। তার হাত ধরেই বর্ষা এ রাজ্যে ঢুকতে পারে বলে মনে হচ্ছে।’’
একই ইঙ্গিত মিলছে কেন্দ্রীয় ভূবিজ্ঞান মন্ত্রকের (যার অধীনে আবহাওয়া দফতর) সচিব মাধবন রাজবনের একটি টুইটেও। শনিবারই তিনি লিখেছেন, আগামী সপ্তাহেই বঙ্গোপসাগরের একটি নিম্নচাপের হাত ধরে বর্ষা সক্রিয় হবে। উপকূলীয় ওড়িশা এবং মধ্য ভারতে বৃষ্টি শুরু হবে। আবহবিজ্ঞানীদের অনেকের অভিমত, ওই নিম্নচাপের টানেই আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝি বঙ্গে বর্ষা ঢোকার সম্ভাবনা রয়েছে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের বিস্তৃত অংশে এ দিনই বর্ষা ঢুকে পড়েছে।
ভ্যাপসা গরম সম্পর্কে আবহবিদেরা জানান, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি রয়েছে। তাই ভ্যাপসা গরম। আবার জলীয় বাষ্পের জন্যই রোজই কোনও না-কোনও এলাকায় বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হয়ে ঝড়বৃষ্টি মিলছে।
আরও পড়ুন: দুর্গতদের ঘরে যাক সাহায্য, দাবি কেন্দ্রীয় দলের কাছে
আমপানের পরে আবহাওয়ার পূর্বাভাস নিয়ে মূলত সোশ্যাল মিডিয়ায় নানান খবর ছড়াচ্ছে। তার মধ্যে বহু খবরই ‘অসত্য’ বলে আবহবিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন। তারই মধ্যেই অন্যতম বঙ্গোপসাগরে জন্ম নিতে চলা নতুন নিম্নচাপটির পূর্বাভাস। আবহবিদদের একাংশের মতে, ইন্টারনেটে বঙ্গোপসাগরের উপরে হাওয়ার ঘূর্ণিপাক খেতে দেখে অনেকেই ঘূর্ণিঝড় বলছেন। কিন্তু সেটি একটি নিম্নচাপ হতে পারে, ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা আপাতত নেই। একই ভাবে ভূকম্প হতে পারেও বলেও রটানো হচ্ছে। কিন্তু ভূমিকম্প কবে, কোথায়, কখন হবে তার পূর্বাভাস দেওয়া যায় না। ফলে ওই ধরনের খবর আদতে গুজব হিসেবেই রটানো হয়। নেট-দুনিয়ার নাগরিকদের উদ্দেশে আবহবিজ্ঞানীদের বক্তব্য, আবহাওয়ার পূর্বাভাস পেতে হলে গণমাধ্যম এবং আবহাওয়া দফতরের সোশ্যাল মিডিয়া পেজ অনুসরণ করাই উচিত।