দুর্ঘটনা ঘটল কী করে? — নিজস্ব চিত্র।
ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে বেলাইন চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। রেল জানিয়েছে, প্রথমে করমণ্ডল এক্সপ্রেস বেলাইন হয়ে কয়েকটি কামরা গিয়ে পড়ে পাশের লাইনে। সেই লাইন দিয়ে আসছিল হাওড়াগামী যশবন্তপুর এক্সপ্রেস। সেই ট্রেনটিও বেলাইন হয়ে যায়।
বালেশ্বরের কাছে বেলাইন দু’টি দূরপাল্লার ট্রেন। রেলের মুখপাত্র অমিতাভ শর্মা বলেন, ‘‘আজ (শুক্রবার) সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ শালিমার থেকে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ১০ থেকে ১২টি কামরা বালেশ্বরের কাছে বেলাইন হয়ে পড়ে। দুর্ঘটনার অভিঘাতে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের বেলাইন হওয়া কামরাগুলি ছিটকে পড়ে উল্টো দিকের লাইনে। কিছু ক্ষণ পর হাওড়াগামী যশবন্তপুর এক্সপ্রেস আসছিল উল্টো দিকের লাইন দিয়ে। সেই ট্রেনটি করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ছিটকে পড়া কামরার উপর দিয়ে চলে যায়। এতে বেলাইন হয়ে যায় যশবন্তপুর এক্সপ্রেসেরও ৩ থেকে ৪টি কামরা বেলাইন হয়ে যায়।’’
এখানেই উঠছে প্রশ্ন, করমণ্ডল এক্সপ্রেস বেলাইন হল কী করে? একটি সূত্রের দাবি, করমণ্ডল এক্সপ্রেস সোজা গিয়ে ধাক্কা মারে একটি মালগাড়িতে। করমণ্ডল এক্সপ্রেস সেই সময় অত্যন্ত দ্রুতগতিতে ছিল। সেই অভিঘাতেই করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ১০ থেকে ১২টি কামরা বেলাইন হয়ে ছিটকে পড়ে উল্টো দিকের লাইনে। যদিও করমণ্ডল এক্সপ্রেস আদৌ মালগাড়িতে ধাক্কা মেরেছিল কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়।
করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটি মূলত বাংলা থেকে দক্ষিণের হাসপাতালগুলিতে যাওয়ার অন্যতম প্রধান মাধ্যম। প্রতি দিনই বহু মানুষ করমণ্ডল এক্সপ্রেসে করে দক্ষিণ ভারত মূলত তামিলনাড়ু, কর্নাটকে যান। দুর্ঘটনার জেরে চিকিৎসা করাতে দক্ষিণ ভারতে যাওয়া যাত্রীদেরও দুরবস্থা চরমে।