কুকুর চাই, কুকুর।
আছে সাকুল্যে ছ’টি। বিভিন্ন ট্রেন ও প্ল্যাটফর্মে তল্লাশি চালাতে আরও কুকুর লাগবে রেল পুলিশের। তাই রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের কাছে ১০টি কুকুর কেনার অনুমতি চেয়েছে তারা। নবান্নের খবর, রেল পুলিশের প্রস্তাব স্বরাষ্ট্র দফতর বিবেচনা করছে।
রেল পুলিশের খবর, ২০০২ সালে তাদের কাছে ১৬টি কুকুর ছিল। বছর দশেকের মধ্যে ১০টি মারা গিয়েছে। এখন মাত্র ছ’টি সারমেয়কে নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে পদে পদে নাজেহাল হতে হচ্ছে তদন্তকারীদের। রেল পুলিশের এক কর্তার কথায়, ‘‘ট্রেনের সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ছে যাত্রীর সংখ্যাও। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিত্যনতুন অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। অপরাধের ধরনও বদলাচ্ছে। রেললাইনে নাশকতার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রিবাহী ট্রেনেও হামলা চালাচ্ছে জঙ্গিরা।’’ কুকুর কম থাকায় রাজধানী, শতাব্দী, দুরন্ত এক্সপ্রেসের মতো কয়েকটি ট্রেন ছাড়া দূরপাল্লার বাকি সব ট্রেন ছুটছে যথাযথ পুলিশি তল্লাশি ছাড়াই। পুলিশ-কুকুর নিয়ে ট্রেন ও প্ল্যাটফর্মে নিয়মিত তল্লাশি চালালে যাত্রীরা ভরসা পান, ভয় পায় অপরাধীরা। তাই যাত্রী-সুরক্ষার তাগিদেই প্রশিক্ষিত কুকুরের সংখ্যা বাড়ানো দরকার, জানান ওই কর্তা।
আরও পড়ুন: দম্পতির ঝগড়াতেও ভরসা ‘মামলাবাজ’
প্রশিক্ষিত কুকুর কম থাকায় কী ধরনের সমস্যা হচ্ছে, তা বোঝাতে ওই কর্তা মালদহ, হাওড়ার মতো বিভিন্ন স্টেশনের কথা টেনে আনেন। তিনি জানান, পূর্ব রেলের মালদহ টাউন স্টেশনে পুলিশ-কুকুর দেওয়ার কথা ছিল দীর্ঘদিন আগে। কিন্তু এখনও সেখানে তার ব্যবস্থা করা যায়নি। এখন প্রয়োজন হলে শিলিগুড়ি থেকে ট্রেনে পুলিশ-কুকুর পাঠাতে হয় মালদহে। এতে তদন্তের কাজ ব্যাহত হয়। রেল পুলিশের কুকুরের ঘাটতি থাকায় অনেক সময় রেল সুরক্ষা বাহিনী (আরপিএফ)-র কুকুর দিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে। এমনকী হাওড়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনের জন্যও রেল পুলিশের প্রশিক্ষিত কুকুর নেই। কাজ চলছে আরপিএফের কুকুর দিয়ে।