—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ট্রেন পথে যাত্রীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকার কথা রাজ্য রেল পুলিশের। কিন্তু রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় রেলপথের দায়িত্ব রয়েছে স্থানীয় পুলিশের হাতে। ফলে সেখানকার নিরাপত্তা থেকে শুরু করে যাত্রী সুরক্ষার দেখভালের দায়িত্ব জেলা পুলিশের। সূত্রের খবর, এবার নিয়ম মেনে রেলপথে থাকা স্টেশন ও রেল যাত্রীদের সুরক্ষার দায়িত্ব স্থানীয় পুলিশের হাত থেকে রেল পুলিশ নিজেদের হাতে নিতে চাইছে। ইতিমধ্যেই রাজ্য রেল পুলিশের তরফে ওই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে নবান্নে। রেল পুলিশের এক সূত্রের দাবি, এর সঙ্গেই দার্জিলিং হিমালয় রেল পথের গোটাটাই এত দিন স্থানীয় জেলা পুলিশ ও শিলিগুড়ি কমিশনারেটের অধীনে ছিল। পুলিশকর্তারা ওই রেলপথের নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে সুকনা পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার ন্যারো গেজ ট্রয় ট্রেনের পথকে এ বার রেল পুলিশের অধীনে আনার তোড়জোড় শুরু করেছেন। তবে সুকনা থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত পাহাড়ি রেল পথের বাকিটা থাকবে স্থানীয় পুলিশের হাতে।
রেল পুলিশ জানিয়েছে, হাওড়া ডিভিশনের খড়্গপুর রেল পুলিশ জেলার অধীন বাঁকড়া থেকে আমতা ট্রেন পথ চালু হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে। প্রায় বাইশ কিমি রেলপথে সারাদিনে বেশ কয়েক জোড়া ট্রেন চলে ওই শাখায়। ওই দাসনগর-আমতার মধ্যে চলাচলকারী ট্রেনের নিরাপত্তা কিংবা কোনও ধরনের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার প্রয়োজন হলে রেল লাইন সংলগ্ন স্থানীয় থানাকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়। একই ভাবে ট্রেনের ধাক্কায় কোনও অস্বাভাবিক মৃত্যু বা দুর্ঘটনা ঘটলে তার তদন্তভার নিতে হয় জেলা পুলিশের স্থানীয় থানাকে। ওই রেলপথে মোট ১৬টি স্টেশন রয়েছে। অন্যতম কোনা, ডোমজুড়, মাকড়দহের মতো স্টেশন। নবান্নে পাঠানো প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ওই শাখার রেল পথ রাজ্য রেল পুলিশের অধীন এলে তা হবে শালিমার রেল পুলিশ থানার অধীনে।
রেল পুলিশ সূত্রের খবর, এর সঙ্গেই উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি রেল পুলিশ সুপারের অধীন আনার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে মালবাজার-চ্যাংড়াবান্ধা ৬১ কিমি রেল পথকে। যার জন্য নতুন চ্যাংড়াবান্ধা রেল পুলিশ থানার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দিনহাটা রেল পুলিশ ফাঁড়ি তৈরি করে দেওয়ানহাট থেকে বামনহাটা পর্যন্ত প্রায় ৭৩ কিমি রেলপথকে স্থানীয় থানার হাত থেকে রেল পুলিশের অধীনে আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। রেল পুলিশ জানিয়েছে, মালবাজার থেকে দোমোহনী দীর্ঘদিন ধরে ট্রেন চললেও সেখানকার ট্রেন পথে যাত্রীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার দায়িত্ব ছিল স্থানীয় পুলিশের হাতে। প্রায় ৩৭ কিমি রেল পথ রয়েছে ওই শাখায়। রাজ্য পুলিশের এক কর্তা জানান, রেল পুলিশের তরফে মাথাভাঙায় রেল পুলিশের থানা করার সঙ্গেই চ্যাংড়াবান্ধা, দিনহাটা, বিন্নাগুড়ি ও লাটাগুড়িতে রেল পুলিশের ফাঁড়ির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।