রাহুল সিংহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিবপ্রকাশ। ছবি সংগৃহীত।
দলের পদ হারিয়ে ‘বিক্ষুব্ধ’ রাহুল সিংহের সঙ্গে মঙ্গলবার কলকাতায় বৈঠক হল বিজেপির সর্বভারতীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিবপ্রকাশের।
দলীয় সূত্রের খবর, কৃষি আইনের সমর্থনে রাজ্য জুড়ে প্রচারের পরিকল্পনা নিয়ে এ দিন হেস্টিংসের বিজেপি কার্যালয়ে নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিবপ্রকাশ। তার ফাঁকেই সেখানে রাহুলের সঙ্গে বৈঠক হয় শিবপ্রকাশের। রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা ভোট-প্রস্তুতি নিয়ে আগামিকাল, বৃহস্পতিবার দিল্লিতে বৈঠকের কথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। সেই বৈঠকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, দলের নতুন সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়-সহ কয়েক জন রাজ্য নেতার থাকার কথা। সোমবার পর্যন্ত সেখানে ডাক পাননি রাহুল। দলীয় সূত্রের খবর, এ দিন শিবপ্রকাশ তাঁকে নড্ডা-শাহদের সঙ্গে ওই বৈঠকে থাকতে বলেন। কিন্তু রাহুল সে ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত জানাননি। দলীয় সূত্রের আরও খবর, ঘনিষ্ঠ মহলে রাহুলের প্রশ্ন, তাঁর যখন দলে কোনও পদই নেই, তখন কীসের জোরে তিনি বৈঠকে যাবেন? তবে শিবপ্রকাশের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি রাহুল।
রাজ্য সভাপতি পদের মেয়াদ ফুরোনোর পরে বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক হন রাহুল। গত শনিবার প্রকাশিত বিজেপির সর্বভারতীয় পদাধিকারীর তালিকায় তিনি বাদ পড়েছেন। তাঁর জায়গায় আনা হয়েছে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা অনুপম হাজরাকে। এ নিয়ে রাহুল প্রকাশ্যে ক্ষোভ জানান। সূত্রের খবর, দলের একাংশও ওই তালিকায় অসন্তুষ্ট।
অন্য দিকে, এ দিনই বর্ধমানের রায়নায় জনসভায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে পুরনো অভিযোগগুলিই ফের তুলেছেন রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। ওই সভাতেই মুকুল বলেন, ‘‘এই ধরনের সভায় কর্মীরা উদ্বুদ্ধ হলেও সংগঠনের তেমন লাভ হয় না। দু’শো জনকে নিয়ে আলোচনা করলে অনেক বেশি লাভ।’’