কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে ফল মিলল! দলের কর্মসূচিতে এ বার রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে এগিয়ে দিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহই! বিজেপি-র প্রতিনিধিদলের হয়ে আজ, শনিবার স্বাধীনতা দিবসেই বীরভূমের পাড়ুই যাচ্ছেন রূপা।
বিজেপি-র অন্দরে সম্প্রতি রাহুল-রূপা টানাপড়েন তুঙ্গে উঠেছিল। উত্তর ২৪ পরগনার হাবরা-অশোকনগরে ত্রাণ নিয়ে গিয়ে রূপা শাসক দলের হেনস্থার মুখে পড়ার পরে দলের ‘তারকা মুখে’র পাশে দাঁড়াননি রাজ্য সভাপতি। ক্ষোভ এবং অভিমানে রূপাও দলের কর্মসূচিতে যাওয়া বন্ধ রেখেছিলেন। শেষ পর্যন্ত কয়েক দিন আগে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে রাজ্যে বিজেপি-র পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের দ্বারস্থ হয়ে তাঁকে গোটা বিষয়টি জানান তিনি। কলকাতা সফরে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গেও দেখা হয় রূপার। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে দলের রাজ্য নেতৃত্ব এবং রূপা, দু’পক্ষকেই বলা হয় ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে নিতে। আপাতত সেই পরামর্শে কাজ হওয়ারই লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।
বিশিষ্টদের ডাকে কলকাতায় শুক্রবার ‘নাগরিক সমাজে’র মিছিলে রূপাকে যোগ দেওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিক ভাবে অনুমতি দিয়েছিল বিজেপি। তার থেকে আরও এক ধাপ এগিয়েই তাঁকে পাঠানো হচ্ছে পাড়ুইয়ে। যেখানে ইতিমধ্যেই বারবার গিয়ে দলের কর্মী-সমথর্কদের আস্থা অর্জন করেছেন এই অভিনেত্রী। সাত্তোরের নির্যাতিতা মহিলার পাশেও দাঁড়িয়েছেন। কৈলাস পরামর্শ দিয়েছিলেন, রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই কাজ করতে হবে রূপাকে। সেই সূত্র মেনে রাহুলবাবুও দলের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গেই রূপাকে জুড়ে দিয়েছেন। রূপাও বলেছেন, দলের দায়িত্ব তিনি পালন করবেন। রাহুলবাবু এ দিন বলেন, ‘‘বীরভূমে পুলিশ ও তৃণমূলের যৌথ অত্যাচার লাগাতার চলছে। তার প্রতিবাদে স্বাধীনতা দিবসে পতাকা উত্তোলন করে সভা হবে। রাজ্য বিজেপি-র তরফে সহ-সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, রীতেশ তিওয়ারি ও মৌসুমি বিশ্বাস— এই চার জনের প্রতিনিধিদল পাড়ুইয়ে যাবে।’’