রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। নিজস্ব চিত্র
মিটছে না সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য এবং হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্নার দ্বন্দ্ব। এ বার বেচারামের অনুগামী গোবিন্দ ধাড়াকে সিঙ্গুরের ব্লক সভাপতি হিসাবে দল নিয়োগপত্র দিতেই ফের ফুঁসে উঠলেন ‘মাস্টারমশাই’। তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ, সিঙ্গুরে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’। তবে দলে থেকেই এর প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে শুনিয়ে দিয়েছেন সে কথা।
ঘটনার সূত্রপাত সিঙ্গুরে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি পরিবর্তন ঘিরে। ওই পদে ছিলেন রবীন্দ্রনাথের অনুগামী হিসাবে পরিচিত মহাদেব দাস। কিন্তু সম্প্রতি তাঁকে সরিয়ে দলে বেচারামের অনুগামী হিসাবে পরিচিত গোবিন্দকে ওই পদে আনা হয়। আর তা নিয়েই অসন্তুষ্ট সিঙ্গুরের তিন বারের বিধায়ক। কিছু দিন আগে জেলা কমিটি ঘোষণার পর গোবিন্দর নাম দেখে দলত্যাগের কথাও বলে বসেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। সে সময় দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়। কিন্তু সেই গোবিন্দকেই দল ব্লক সভাপতি হিসাবে নিয়োগপত্র দেওয়ায় দৃশ্যতই ক্ষুব্ধ রবীন্দ্রনাথ। গোবিন্দের বিরুদ্ধে বেহিসাবি সম্পত্তি এবং সমবায় দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘‘দলের মধ্যে থেকেই এর প্রতিবাদ করব। কুচক্রীদের বিরুদ্ধে লড়াই করব।’’
বৃহস্পতিবার সিঙ্গুরের বিধায়ক ক্ষোভের সুরে বলেন, ‘‘গত বিধানসভা ভোটেও দলেরই একটি গোষ্ঠী আমার কুশপুতুল দাহ করেছিল। আমার মনোনয়ন মেনে নেয়নি। মানুষের কাছে ভুল প্রচার করেছিল। কিন্তু তার পরেও সিঙ্গুরের মানুষ আমাকে সমর্থন করেছেন। পঞ্চায়েত ভোটেও সিঙ্গুরে জয়ী হয়েছে তৃণমূল।’’ কিন্তু লোকসভায় ভরাডুবি কেন হল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন রবীন্দ্রনাথ। তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘সে সময় দল যাঁদের দায়িত্ব দিয়েছিল তাঁদের মানুষ পছন্দ করেনি।’’
আরও পড়ুন: তৃণমূলের পাল্টা সভা কাঁথিতে, ঘরের মাঠে আজ শুভেন্দুর অগ্নিপরীক্ষা
আরও পড়ুন: অধীরকে জোটের ‘মুখ্যমন্ত্রী মুখ’ করার দাবি, আসরে কংগ্রেসের একাংশ
রবীন্দ্রনাথের ক্ষোভ, ‘‘সিঙ্গুরের বিধায়কের কথা কানে তোলা হয় না।’’ বিষয়টি নিয়ে ফের দলের শীর্ষ নেতৃত্বের শরণাপন্ন হয়েছেন তিনি। দল কী ব্যবস্থা নেয় তা দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করবেন বলেও জানিয়েছেন।