রবীন্দ্রজয়ন্তীর মহড়ার জন্য কিছু ছাত্রছাত্রীকে সেই তো স্কুলে আসতেই হচ্ছে। তা হলে পঠনপাঠন বন্ধ করে রাখা হল কেন, প্রশ্ন তুলছেন বিভিন্ন বেসরকারি স্কুলের কর্তৃপক্ষ।
ফাইল চিত্র।
দীর্ঘ অতিমারিতে দু’বছর স্কুল বন্ধ থাকায় অফলাইনে অর্থাৎ স্কুল-চত্বরে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করা হয়নি। এ বার সংক্রমণ পরিস্থিতি তুলনায় ভাল বলে কবি-স্মরণের প্রস্তুতি চলছিল নতুন উৎসাহে। কিন্তু আগেভাগেই গরমের ছুটি পড়ে যাওয়ায় এ বারেও বেশির ভাগ সরকারি স্কুলে শিক্ষক ও পড়ুয়াদের উপস্থিতিতে রবীন্দ্রজয়ন্তীর অনুষ্ঠান করা যাচ্ছে না। কিছু স্কুল নিজেদের উদ্যোগে কবির জন্মদিন পালন করলেও তা হচ্ছে খুব ছোট করে। তবে রাজ্যের অনেক বেসরকারি স্কুলেই প্রাক্-করোনা পর্বের মতো শিক্ষক-পড়ুয়ার উপস্থিতিতে কবি স্মরণের আয়োজন চলছে। সোমবার পরীক্ষা থাকায় এই ধরনের কিছু স্কুল রবীন্দ্রজয়ন্তী সেরেছে শনিবারেই।
যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য বলেন, “২০১৯ সালে শেষ বার অফলাইনে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালিত হয়। তার পরে করোনার জন্য স্কুল বন্ধ থাকায় ২০২০ এবং ২০২১ সালে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করা হয়েছে অনলাইনে। ওই দু’বছর পড়ুয়ারা বাড়ি থেকে কবিতা-গান ভিডিয়ো করে পাঠিয়েছিল। সেগুলো আমরা আপলোড করে দিয়েছিলাম। এ বার ফের গরমের ছুটি পড়ে গেল। তার মধ্যেই সংখ্যায় খুব কম হলেও কিছু পড়ুয়া স্কুলে এসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবে বলে ঠিক হয়েছে।”
কিন্তু এ বারেও রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন বাদ পড়েছে বেশির ভাগ স্কুলে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুমিরমারা হাইস্কুলের স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রণয় রায় বলেন, “দু’বছর পরে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালনের উৎসাহে পড়ুয়ারা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মহড়া শুরু করে দিয়েছিল। কিন্তু ফের স্কুলে ছুটি পড়ে যাওয়ায় ও রবীন্দ্রজয়ন্তী অফলাইনে করার কোনও নির্দেশিকা না-থাকায় পুরো অনুষ্ঠানটাই পণ্ড হয়ে গেল।”
সরকারি স্কুলে এই ধরনের কোনও নির্দেশ না-এলেও বেসরকারি স্কুলে গরমের ছুটি সংক্রান্ত নির্দেশিকায় প্রয়োজনে স্কুলভবনেই রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করার কথা বলা হয়েছে। কিছু বেসরকারি স্কুলে অফলাইনে স্মরণ করা হচ্ছে কবিকে। আজ, সোমবার বোর্ড পরীক্ষা থাকায় কিছু স্কুল আবার শনিবারেই স্কুলে অফলাইনে রবীন্দ্রজয়ন্তীর অনুষ্ঠান করেছে।
রবীন্দ্রজয়ন্তীর মহড়ার জন্য কিছু ছাত্রছাত্রীকে সেই তো স্কুলে আসতেই হচ্ছে। তা হলে পঠনপাঠন বন্ধ করে রাখা হল কেন, প্রশ্ন তুলছেন বিভিন্ন বেসরকারি স্কুলের কর্তৃপক্ষ।