প্রতীকী ছবি।
বার বার দাবি ও আবেদন জানাচ্ছিল শিক্ষা শিবির। অবশেষে রাজ্যের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের জন্যও মঞ্জুর হল ‘কোয়রান্টিন লিভ’ বা নিভৃতবাসের ছুটি। এই বিষয়ে মঙ্গলবার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্কুলশিক্ষা দফতর।
এ দিনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সার্ভিস রুল অনুযায়ী কোভিড ১৯ এবং অন্য চারটি রোগ হলে নিভৃতবাসের ছুটি মিলবে। অন্য চারটি রোগ হল সার্স, মার্স, অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা অথবা নভেল ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং ক্রিমিয়ান কঙ্গো হেমারেজিক ফিভার (সিসিএইচএফ)। শিক্ষা দফতর জানিয়েছে, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মী বা তাঁদের বাড়ির কোনও সদস্য করোনা ছাড়াও এই চার রোগের কোনও একটিতে আক্রান্ত হলে তাঁরা এই ছুটি পাবেন।
এর আগে অর্থ দফতরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, কোভিড হলে সরকারি কর্মীরা নিভৃতবাসের ছুটি পাবেন। সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত এবং সরকার পোষিত স্কুলশিক্ষকদের অভিযোগ ছিল, সরকারি স্কুলের শিক্ষকেরা সরকারি কর্মীর পর্যায়ে পড়লেও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত এবং সরকার পোষিত স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা পড়ছেন না। তাঁদের দাবি ছিল, সরকার পোষিত এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত শিক্ষকদের কোয়রান্টিন লিভের জন্য অর্থ দফতরের যে-বিজ্ঞপ্তি বেরিয়েছে, তার একটা ‘ম্যাচিং অর্ডার’ বা পরিপূরক নির্দেশিকা-বিজ্ঞপ্তি জারি করুক শিক্ষা দফতর। তাঁরাও যে এই নিভৃতবাসের ছুটি পাওয়ার যোগ্য, বিজ্ঞপ্তিতে সেটা বলা হোক। অবশেষে সেই ম্যাচিং অর্ডার জারি হওয়ায় শিক্ষক মহল খুশি।
শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, “বহু বার দাবি জানানোর পরে সব স্তরের শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের জন্য কোয়রান্টিন লিভ চালু হল। বাস্তবসম্মত কারণে, অনেক আগেই এটি চালু করার প্রয়োজন ছিল। দেরিতে হলেও দাবি মেনে নেওয়ার জন্য শিক্ষা দফতরকে অনেক ধন্যবাদ।” মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা অনিমেষ হালদারও বলেন, “স্কুলশিক্ষা দফতরের বহু প্রতীক্ষিত কোয়রান্টিন লিভের ম্যাচিং অর্ডার বার হল।"