প্রতীকী ছবি।
এ বছরে রাজ্য জুড়ে ইতিমধ্যেই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৫৮০। পরিস্থিতি বিচার করে করোনা আবহেই জুলাই মাস থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষার কাজ শুরুর নির্দেশ দিয়েছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। কিন্তু ডেঙ্গির লড়াইয়ের অন্যতম প্রধান অস্ত্র মশা নিধন তেল অবশ্য এখনও মেলেনি বলে বিভিন্ন পুর কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন। দফতরের অবশ্য দাবি, জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে পুরসভাগুলির হাতে মশা নিধন তেল পৌঁছে যাবে।
করোনার জন্য বাড়ি বাড়ি পৌঁছে ডেঙ্গি-সহ পতঙ্গবাহিত রোগ প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণের সমীক্ষা করার কাজ শুরু করা যায়নি। কিন্তু ডেঙ্গি সংক্রান্ত তথ্যও আসতে শুরু করে স্বাস্থ্য দফতরের কাছে। তাই আর দেরি না করে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষার বিষয়ে পুর দফতরকে ছাড়পত্র দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। তা আসার পরে পুরসভাগুলির কাছে নির্দেশ পাঠিয়েছে রাজ্য নগর উন্নয়ন সংস্থা (সুডা)। সেই নির্দেশ মঙ্গলবার পেয়েছেন বলে জানাচ্ছেন বিভিন্ন পুর কর্তৃপক্ষ।
করোনার প্রাদুর্ভাবের ফলে মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি (এইচ টু এইচ) সমীক্ষা করা যায়নি। তবে ভেক্টর কন্ট্রোল টিম (ভিসিটি) মার্চ থেকে কাজ শুরু করেছে। জুনে কাজের গতি বেড়েছে বলে দফতরের দাবি। পুর দফতরের ক্যালেন্ডার অনুসারে, বাড়ি বাড়ি (এইচ টু এইচ) টিম জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত মাসে দু’দফায় পাঁচ দিন করে সমীক্ষা করবে। কলকাতা পুরসভা বাদে রাজ্যের অন্য পুর এলাকায় চলতি বছরে এইচ টু এইচ টিমে প্রায় ৩২ হাজার সদস্য কাজ করবেন। র্যাপিড রেসপন্স আর ভিসিটি মিলিয়ে সদস্য থাকবেন প্রায় ২০ হাজার। গত দু’বছরের ডেঙ্গির বাড়াবাড়ির হিসেব নিকেশ করে স্বাস্থ্য দফতরের পরামর্শ অনুযায়ী ৪২টি পুরসভায় বাড়তি নজর দিয়েছে পুর দফতর।
করোনার কারণে বাড়ি বাড়ি যাওয়া নিয়ে সমস্যা থাকায় ডেঙ্গির জন্য তথ্য সংগ্রহ করতে পারেনি বিভিন্ন পুরসভা। তা মানছেন পুর দফতরের বিভিন্ন আধিকারিক থেকে জনপ্রতিনিধি। এখনও তো করোনার প্রাদুর্ভাব কমেনি। তা হলে কি বাড়ি যাওয়া সম্ভব হবে? পুর দফতরের দাবি, এই কাজে স্বাস্থ্য দফতর প্রশিক্ষণ দেবে।
তবে এখনও মশা নিধনের তেল না মেলায় নিজেদের আলোচনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কোনও কোনও পুর কর্তৃপক্ষ। তাঁদের মতে, ডেঙ্গি যুদ্ধের অন্যতম অস্ত্র হাতে না আসায় ডেঙ্গি মোকাবিলা অনেকাংশে ধাক্কা খাচ্ছে। এই তেল জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিওএমএইচ) মারফত পুরসভায় পৌঁছয়। পতঙ্গবাহিত রোগ প্রতিরোধের পদক্ষেপে পুরসভার ভূমিকা থাকলেও স্বাস্থ্য দফতরের মুখাপেক্ষী হয়ে অপেক্ষা করতেই হয় পুর দফতরকে।