বিধানসভা ভবন।
মাঝে মাঝেই বাইরের পলেস্তারা খসে পড়ছে। ৮৮ বছরের পুরনো ঐতিহাসিক ভবনের গায়ে ফাটলও দেখা যাচ্ছে দু’এক জায়াগায়। সামনের ‘লবি’র একাংশ বসে গিয়ে একদিকে সামান্য ঢাল নজরে এসেছে রাজ্য বিধানসভায় ।
নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের পরেও কেন এরকম হচ্ছে? তা দেখতেই নব্বই ছুঁইছুঁই ভবনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু করা হয়েছে। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ভবনের কিছু জায়গায় ফাটল নজরে এসেছে। তা দেখেই পূর্ত দফতরকে সামগ্রিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বলা হয়েছে। সেই কাজ শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘সব পরীক্ষা নিরীক্ষার পরই বলা যাবে, ঠিক কী কারণে এই ফাটল তা বলা যাবে। পূর্ত দফতরের তরফে সুপারিশ এলে সেই মতো সংস্কারের কাজ করতে হবে আমাদের।’’
১৯২৮ সালে এখনকার এই বিধানসভা ভবন তৈরি করে মার্টিন অ্যান্ড কোম্পানিকে। ভবনের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন বাংলার গভর্নর স্যার ফ্রান্সিস স্ট্যানলি জ্যাকসন। তবে তারপর থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন সময় প্রয়োজনমতো রক্ষণাবেক্ষণ করা হলেও কখনও ভবনের নিয়ম মেনে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়নি। বিমানবাবু বলেন, ‘‘যখন যেমন প্রয়োজন হয়েছে পূর্ত দফতর সংস্কার করেছে। অধিবেশনকক্ষের মূল যে চূড়া তার সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু এমন ছড়িয়ে থাকা ভবনের একটা পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য রিপোর্ট প্রয়োজন।’’
সেই কারণেই বিধানসভার সচিব অভিজিত সোম পূর্ত দফতরকে লিখিতভাবে ভবনের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বলেছেন। তিনি বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই কিছু সংস্কার হয়েছে। বজ্রপাত প্রতিরোধে আধুনিক ব্যবস্থা হয়েছে সম্প্রসারিত অংশে। এবার পুরনো ভবনের স্বাস্থ্য দেখা হবে।’’ তাঁর সেই চিঠি পাওয়ার পর কাজ শুরু করেছে পূর্ত দফতর। দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘ঐতিহ্যবাহী ভবনের কোনও অংশ না ভেঙেই আমরা এই সমীক্ষা শুরু করেছি।’’ তাঁর কথায়, ‘‘প্রায় নব্বই বছর আগে তৈরি ভবনের কাঠামোগত শক্তি যথেষ্টই। একটা অংশে সামান্য একটু সমস্যা নজরে এসেছে। তবে তা একেবারেই অস্বাভাবিক নয়। এবং মেরামতযোগ্য।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।