জাতীয় সড়কে যানজটে ফেঁসে ট্রাক, লরি-সহ অন্য যানবাহন। —নিজস্ব চিত্র।
যন্ত্রাংশ বিকল হওয়ায় সেতুর উপরেই ফেঁসে গিয়েছিল পাথর বোঝাই লরি। তার জেরে তৈরি হওয়া যানজটে শুক্রবার কার্যত অচল থাকাল রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক। ওই রাস্তায় সাদাইপুর থানা এলাকায় থাকা বক্রেশ্বর নদের সেতুর উপর ঘটনাটি ঘটেছিল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে। পুলিশ ও স্থনীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খানাখন্দে ভর্তি বেহাল জাতীয় সড়কে ভারি গাড়ির যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে যাওয়া এবং দীর্ঘক্ষণ মাঝ রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়া কোনও নতুন ঘটনা নয়। দুর্ভোগ তখনই বাড়ে, যখন কোনও সেতুর উপর ঘটনাটি ঘটে। যেমনটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে। পুলিশ জানিয়েছে, রাত তখন ১২টা কিংবা সাড়ে ১২টা হবে। বক্রেশ্বর নদের সেতুতে ওঠার পরই দুবরাজপুরমুখী একটি পাথরবোঝাই লরির যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে যায়। সেতুর উপর দাঁড়িয়ে লরিটি। কিন্তু রাতে তো নয়ই, বহু চেষ্টার পর সকাল সাতটা নাগাদ বিকল লরিটিকে সেতুর একপাশে সারাতে সক্ষম হয় প্রশাসন। কিন্তু ততক্ষণে কয়েক কিলেমিটার দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে। সকালের দিকে সমস্যা কিছুটা মিটছে। কিন্তু পাথরবোঝাই থাকায় লরিটিকে সেতু থেকে পুরোপুরি সরানো যায়নি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফের ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয় ওই রাস্তায়। পানাগড়-দুবরাজপুর ১৪ নম্বর রাজ্য সড়কও যেহেতু জাতীয় সড়কে মিশেছে তাই যান চলাচলের মাত্রা আরও বাড়ে। যানজটে নাকাল হন সাধারণ মানুষ। অনেকেই সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারেননি। পরের দিকে কয়েকটি বাস ও ছোট গাড়ি দুবরাজপুর শহরের মধ্যে দিয়ে বক্রেশ্বর, রাজনরের চন্দ্রপুর হয়ে সিউড়ি যায়। একই রাস্তায় ঘুরিয়ে দেওয়া হয় পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের গাড়িও। মন্ত্রী এদিন সিউড়ির একটি স্কুলের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। ওই রাস্তায় যাতায়াতকারীরা বলছেন, যতক্ষণ না জাতীয় সড়ক সংস্কার হচ্ছে, এমন দুর্ভোগ এড়ানো সম্ভব নয়। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানাচ্ছে, দরপত্র ডাকা হয়েছে। ঠিকাদারও নিযুক্ত হয়েছে। ওই রাস্তার কাজ শীঘ্রই শুরু হবে।