রামপুরহাট কলেজে পাশ কোর্সে শিক্ষা এবং সঙ্গীতের অনুমোদন

চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে রামপুরহাট কলেজে পাশ কোর্সে শিক্ষা এবং সঙ্গীত নিয়ে পড়তে পারবে ছাত্র-ছাত্রীরা। সম্প্রতি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ ব্যাপারে অনুমোদন মিলেছে বলে জানিয়েছেন রামপুরহাট কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জয়দেব পান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৪ ০০:৩৭
Share:

চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে রামপুরহাট কলেজে পাশ কোর্সে শিক্ষা এবং সঙ্গীত নিয়ে পড়তে পারবে ছাত্র-ছাত্রীরা। সম্প্রতি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ ব্যাপারে অনুমোদন মিলেছে বলে জানিয়েছেন রামপুরহাট কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জয়দেব পান। তিনি জানান, রামপুরহাট কলেজে শিক্ষা এবং সংগীত এই দুটি বিষয়ে ৬০ জন ছাত্রছাত্রী পড়তে পারবে। আজ সোমবার কলেজে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।

Advertisement

রামপুরহাট কলেজের পরিচালন কমিটির সভাপতি তথা শিক্ষা প্রতি মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দুটি বিষয়ের সিলেবাস দেখার পর কত জন শিক্ষক নিয়োগ করা হবে সেটা নির্ভর করছে। সংগীতের জন্য বর্ধমানের পদ্মজা নাইডু মিউজিক কলেজের টিচার ইন-চার্জ ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়কে রামপুরহাট কলেজে নিয়ে আসা হবে। তাঁর পরামর্শ মতো রামপুরহাট কলেজে সংগীত নিয়ে পড়ার পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে।” তৃণমূল ছাত্রপরিষদ পরিচালিত কলেজের ছাত্রসংসদের সাধারণ সম্পাদক সাগর কেশরী বলেন, “রামপুরহাট কলেজে নতুন দুটি বিষয় চালু করার জন্য দীর্ঘ দিন থেকে ছাত্রছাত্রীরা দাবি জানিয়ে এসেছে। ছাত্রসংসদের দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে পাঠানোয়, ওই দুটি বিষয়ের অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছিল। বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ কর্তৃপক্ষের আবেদনে সাড়া দেওয়ার জন্য আমরা পরিচালন কমিটির সভাপতি আশিসবাবুকে ধন্যবাদ জানাই।”

অন্যদিকে রামপুরহাট কলেজে রেগুলার কোর্সে বাংলা এমএ চালু করার বিষয়ে শনিবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চার সদস্যের প্রতিনিধি দল কলেজ ঘুরে যান। তাঁরা রামপুরহাট ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের সঙ্গেও একপ্রস্থ আলোচনা করে কলেজের লাইব্রেরীতে বাংলা বিষয়ের উপর কি কি বই মজুত আছে তা খতিয়ে দেখেন। পরে কলেজের যে ঘরে বাংলা অনার্স পড়ানো হয় সেই ঘরটিও পরিদর্শন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা জানান যান, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে রিপোর্ট জমা দেব। সম্প্রতি একই ব্যপারে উচ্চ শিক্ষা সংসদের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল রামপুরহাট কলেজে এসেছিলেন। রামপুরহাট কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জয়দেব পান জানান, উচ্চ শিক্ষা সংসদের প্রতিনিধিদলের রিপোর্ট এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা প্রতিনিধি দলের রিপোর্ট জমা পড়ার পরই কলেজে এমএ চালু করা যাবে কিনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয়। আশিসবাবু জানান, উচ্চ শিক্ষা দফতর থেকে ৪৭ লক্ষ টাকা পাওয়ার কথা। ওই টাকা পাওয়া গেলে বাংলা এমএ পড়ানোর জন্য আলাদা করে ভবন তৈরি করা হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement