আইনজীবীদের মিছিল। —নিজস্ব চিত্র
বিষ্ণুপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিলেন সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরে অভিযুক্ত ১৩ জন আইনজীবী। শুক্রবার নানা সমস্যা নিয়ে বার অ্যাসোসিয়েশন এবং ল ক্লার্ক অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা বিষ্ণুপুর শহরে মিছিল বের করেন।
মহকুমা এগ্জিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে কাজ না হওয়ায় ফিরে যাচ্ছেন বিচারপ্রার্থীরা। বুধবার বিষ্ণুপুর মহকুমা প্রশাসনিক ভবনে সেই অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন বার অ্যাসোসিয়েশন এবং ল ক্লার্ক অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। আগাম অনুমতি না নিয়ে যাওয়ায় দেখা করতে দেরি হওয়ায় ম্যাজিস্ট্রেটদের উপর চড়াও হওয়ার অভিযোগ ওঠে আইনজীবীদের উপর। দু’পক্ষ জড়িয়ে পড়ে ঝামেলায়। বিষ্ণুপুরের মহকুমাশাসক পলাশ সেনগুপ্ত পুলিশের কাছে ১৩ জন আইনজীবীর বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি ক্ষতির অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। উল্টে বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রবিদুলাল ঘোষও মহকুমার ছয় বিডিও এবং ওই অফিসের নির্বাচনী অধিকারিকের বিরুদ্ধে আইনজীবীদের গালিগালাজ ও মারধরের অভিযোগ দায়ের করেন। সেই ঘটনায় ১৩ জন আইনজীবী শুক্রবার বিষ্ণূপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করে ব্যক্তিগত বণ্ডে জামিন পান। বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বলেন, “আইন আমাদের পেশা। তাকে সম্মান করি। তাই যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সকলেই আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। পাশাপাশি এ দিন আমরা এসিজেএম আদালতে ফের ওই সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছি।” মহকুমাশাসক (বিষ্ণুপুর) পলাশ সেনগুপ্ত বলেন, “আগাম অনুমতি না নিয়ে আইনজীবীরা অফিসে ঢুকে ওই রকম আচরণ করবেন, মোটেই তা কাম্য ছিল না। তাঁরা আদালতে অভিযোগ করে থাকলে করুন। আমাদের কিছু বলার নেই।”