নলকূপ থেকে পড়ছে ফ্লোরাইড মিশ্রিত জল।—ফাইল চিত্র।
অতীতে দু’টি এলাকাতেই ভূর্গভস্থ জলস্তরে মাত্রাতিরিক্ত ফ্লোরাইড মিলেছিল। ওই দুই এলাকার মানুষকে পরিস্রুত পানীয় জল দিতে মঙ্গলবারই কয়েক কোটি টাকার দু’টি বিশেষ প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের দাবি, ওই প্রকল্পের ফলে নলহাটি ও রামপুরহাট থানা এলাকার ওই বাসিন্দাদের দীর্ঘ দিনের সঙ্কট মিটবে। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ১৯৯৫ সালে রাজ্যে প্রথম নলহাটি থানার নসিপুর, ভবানন্দপুর, নাচপাহাড়ি গ্রামগুলিতে ভূর্গভস্থ জলস্তরে মাত্রাতিরিক্ত ফ্লোরাইড পাওয়া গিয়েছিল। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ প্রকল্প গড়ে স্থানীয় তিরপিতা নদী থেকে এলাকার গ্রামগুলিতে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ করা শুরু হয়। কিন্তু, অধিকাংশ সময়ই লোভোল্টেজ থাকায় সেই জল সরবরাহে বিঘ্ন ঘটত। সম্প্রতি জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের উদ্যোগে ১ কোটি ৩১ লক্ষ টাকা খরচ করে ভবানন্দপুর পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পের উন্নতিসাধন করা হয়েছে। এর ফলে এলাকার প্রায় সাড়ে ছ’হাজার বাসিন্দা উপকৃত হবেন বলে প্রশাসনের দাবি। অন্য দিকে, ২০০৩ সালে রামপুরহাট থানার জুনিদপুর, নওয়াপাড়া, কবিচন্দ্রপুর, কামদেবপুর, চক আটলা গ্রামগুলিতেও ভূর্গভস্থ জলের নীচে মাত্রাতিরিক্ত ফ্লোরাইড পাওয়া গিয়েছিল। ২০০৯ সালে পাইপলাইনের মাধ্যমে এলাকায় পরিস্রুত পানীয় জলের প্রকল্প শুরুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, রিজার্ভার তৈরির জায়গা নিয়ে সমস্যা থাকার জন্য সেই প্রকল্প এত দিনেও বাস্তবায়িত হয়নি। সম্প্রতি জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর থেকে ২ কোটি ৩৫ হাজার ব্যয়ে আটলা গ্রামে নতুন রিজার্ভার তৈরি করা হয়। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী তার উদ্বোধন করার পরে ওই প্রকল্পের মাধ্যমে এলাকার প্রায় সাড়ে চার হাজার বাসিন্দা উপকৃত হবেন বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।
ওই দু’টি প্রকল্পের উদ্বোধন ছাড়াও মঙ্গলবার রামপুরহাটের প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী নলহাটি থানার হরিদাসপুর, রঘুনাথপুর এবং মাড়গ্রাম থানার হাজারপুরের জন্য পরিস্রুত পানীয় জলপ্রকল্পের শিলান্যাস করেছেন। এ ছাড়া বোলপুর শহরে পরিস্রুত পানীয় জল প্রকল্পের উন্নতির জন্য অন্য একটি প্রকল্পেরও শিলান্যাস হয়েছে।