চলছে লোকনৃত্য। —নিজস্ব চিত্র
বিক্রি নেই
মধুবনি চিত্র নিয়ে বিহার থেকে এসেছেন শিল্পী। রয়েছেন রাজ্যের পট-আঁকিয়েরাও। পসরা সাজিয়ে বসে রয়েছেন বাঁকুড়ার ডোকরা শিল্পী থেকে বিষ্ণুপুরের পোড়ামাটির কারিগররা সবাই। কিন্তু বিক্রিবাটা নেই। জানালেন, প্রথম দিনের বিক্রিতে স্টলের ভাড়াটুকুও ওঠেনি। দ্বিতীয় দিনের অবস্থাও তথৈবচ। সাধারণত মেলার দ্বিতীয় দিনে ভিড়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে বিক্রিবাটা। কিন্তু এ বার দেখা গেল অন্য ছবি। যদিও খাবারদাবারের স্টলগুলিতে ভিড়ের ঘাটতি ছিল না।
মাংসে ফাঁক
অন্য বার লুকিয়ে চুরিয়ে বিক্রির অভিযোগ ওঠে। এ বার একে বারে প্রকাশ্যে। দোকানের সামনে তালিকা টাঙিয়ে বিক্রি হচ্ছিল মাংসের নানা পদ। অথচ নিয়মাবলীতে স্পষ্ট লেখা থাকে মাংস বিক্রি করা যাবে না মেলায়। অভিযোগ কানে আসতেই মোটা অঙ্কের জরিমানার কথা মাইকে ঘোষণা করলেন মেলা কর্তৃপক্ষ। হাতে হাতে ফলও মিলল। খাবারের তালিকা বেমালুম বদলে গেল। কিন্তু তার আগে একটার সঙ্গে একটা ফ্রি দিয়ে শেষ মুহূর্তে ব্যবসাটাও সেরে ফেললেন দোকানিরা।
জলের দরে
ফি বছর মেলায় আসেন গোরাবাবু। সম্প্রতি নিজে বাড়ি বানিয়েছেন একটা। সেই সুবাদে গিন্নি হাতে ধরিয়ে দিয়েছেন একটা লিস্ট। মেলা থেকে কিনে নিয়ে যেতে হবে ঘর সাজানোর রকমারি জিনিস পত্র। দিনে তিন বার মেলার মাঠ চষে বেরিয়ে গোরাবাবু কিনেছেন মধুবনি চিত্র, গোপাল ঘোষের জলরঙ, রামকিঙ্কর এবং সুহাস রায়ের ছবির প্রিন্ট। খরচ হয়েছে হাজার সাতেক টাকা। জানালেন, ‘‘জলের দরে সব পাওয়া গেছে। যাক! বাকি দু’দিন নিজের মত ঘোরা যাবে মেলায়।’’
কর্ণপাত
নোংরা আবর্জনা যত্রতত্র না ফেলার জন্য বারে বারে মাইকে অনুরোধ করছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। মেলার মধ্যে ধূমপান না করার জন্যও ঘোষণা করা হচ্ছে। কিন্তু কে শোনে কার কথা। দেখে শুনে হতাশ এক স্বেচ্ছাসেবক বলে উঠলেন, ‘‘নিজে থেকে সচেতন না হলে হাজার বলেও কিচ্ছু হওয়ার নেই।’’
বাঁশি শুনে
প্রতি বছরই মেলায় স্টল দেয় ‘১৪০০ সাহিত্য’। কবিতা পাঠ, গান বাজনা হয় সেখানে। জমে ওঠে সাহিত্যের আড্ডা। কিন্তু অন্য বারের মতো এ বার বাঁশির আসর বসেনি। আর সেই জন্য, বাঁশি শুনতে চেয়ে উদ্যোক্তাদের কাছে অনবরত এসে চলেছে অনুরোধ।