কেউ অচ্ছুত নয়, বরং শক্তি বৃদ্ধিতে সকলকেই স্বাগত। আসন্ন পুরভোটে লড়াইয়ে নামার আগে তেমনটাই স্পষ্ট করল জেলা বামফ্রন্ট। শুধু বাম শরিক দলগুলি নয়, এ প্রথম বার এসইউসি এবং সিপআই (এমএল)-এর মতো বাম দলগুলিকে পাশে নিয়ে ময়দানে নামতে তারা প্রস্তুত। বৃহস্পতিবার সিউড়ি সিপিএম কার্যালয়ে এমটাই ঘোষণা করলেন বামফ্রন্টের আহ্বায়ক দিলীপ গঙ্গোপাধ্যায়।
বস্তুত, জেলার চারটি পুরসভায় মোট ৭৩টি আসনের জন্যই শরিক দলগুলির মধ্যে আসন সমঝোতা হয়ে গিয়েছে। এ দিন দিলীপবাবু সিপিএমের জেলা সম্পাদক রামচন্দ্র ডোম, সিপিআইয়ের অপূর্ব মণ্ডল, আরসিপিআইয়ের চিত্ত মালাকার, ফরওয়ার্ড ব্লক সম্পাদক রেবতী ভট্টাচার্য এবং আরএসপি নেতা সমীর বন্দ্যোপাধ্যায়দের পাশে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে একটি আসন সমঝোতার তালিকাও দিলেন। সেখানে এত দিনের শরিকদলগুলির পাশাপাশি সিউড়ি এবং বোলপুরের একটি করে মোট ২টি আসন এসইউসি এবং বোলপুর পুরসভার একটি আসন সিপিআই (এমএল)-কেও দিয়েছে বামফ্রন্ট। দিলীপবাবু বলছেন, “তৃণমূল-বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়তে বৃহত্তর বাম ঐক্য গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। তার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” এই পরিস্থিতিতে গত পুরভোটে দলের টিকিটে জেতা কোনও প্রার্থী দলত্যাগ করে অন্য দলে চলে গিয়েও ফের ফিরে আসতে চান বা চেয়েছেন, এমন ব্যক্তিদেরও প্রার্থী হিসাবে জায়গা গিতে আপত্তি থাকবে না বলে জানালেন বাম নেতৃত্ব। এসইউসি-র জেলা সম্পাদক মলয় ঘটক বলছেন, “আমাদের লক্ষ্য নির্বাচনে জেতার বাইরে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরোধিতা করা এবং আন্দোলনে থাকা। গত কয়েক মাস আমরা বেশ কিছু আন্দোলনে বামফ্রন্টের পাশে সামিল ছিলাম। তার পরেই নির্বাচনে একসঙ্গে লড়ার প্রস্তাব আসে। আমরা রাজি হয়েছি।” বোলপুরে একটি আসনে প্রার্থী দেওয়া প্রসঙ্গে সিপিআইএম (এল) জেলা সম্পাদক শৈলেন মিশ্রও বৃহত্তর বাম ঐক্যের কথাই বলেছেন।