নজরদারিতে অধ্যক্ষ। জে কে কলেজে বুধবার। —নিজস্ব চিত্র।
জগন্নাথ কিশোর কলেজের বিভিন্ন জায়গায় ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার নজরদারি শুরু হল। কলেজ সূত্রে জানানো হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অর্থে ৪২টি সিসিটিভি বসানোর কাজ সবে শেষ হয়েছে।
কলেজের অধ্যক্ষ শান্তনু চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সিসিটিভি বসানোয় সবারই কাজের সুবিধা হবে। কলেজের গ্রন্থাগারে এতদিন গ্রন্থাগারিকের কাছ থেকে পড়ুয়াদের বই সংগ্রহ করতে হত। এ বার সেখানে ১৫টি সিসিটিভি বসানো হয়েছে। ফলে এ বার থেকে পড়ুয়ারা নিজেরাই গ্রন্থাগারে ঢুকে আলমারি থেকে বই বাছাই করে নিতে পারবে।” তিনি জানান, গ্রন্থাগার ছাড়াও কলেজের মূল প্রবেশপথ, বিভিন্ন করিডর, অধ্যক্ষের চেম্বার থেকে কলেজ চত্বরের বিভিন্ন জায়গা নজরে রাখতে ৪২টি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। অধ্যক্ষের কথায়, “এর ফলে বিভিন্ন ঘটনার উপরে যেমন নজর রাখা যাবে, তেমনি কোনও ঘটনা ঘটলে সেই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ থেকেই পরিস্কার হয়ে যাবে ঠিক কী ঘটেছিল।”
২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে এই কলেজে কম হাজিরা থাকা ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের ডেকেছিলেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। সেই আলোচনা সভায় বাদানুবাদের জেরেই সে দিন অর্ধশতবর্ষ প্রাচীন এই কলেজের অধ্যক্ষের চেম্বারের আসবাব পত্রে আগুন লাগানো হয়েছিল। এই ঘটনার জেরে কলেজ কর্তৃপক্ষ পুলিশের কাছে অভিযোগ করে তদন্ত দাবি করলেও শেষমেশ জানা যায়নি কে বা কারা আগুন লাগিয়েছিল। কলেজের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু সুফিয়ানের কথায়, “সে দিন যদি অধ্যক্ষের ঘরে সিসিটিভি থাকত তবে বোঝা যেত সে দিন কী ঘটেছিল এবং কারা এই ঘটনায় যুক্ত।” সরকারি দফতর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, ঝামেলার ঘটনা এখন আর নতুন কিছু নয়। তাই এই কলেজে সিসিটিভি বসানোয় স্বস্তিতে অনেক শিক্ষক।