প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আরজি করের মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামছে সিপিএম। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্তভার হাতে নেওয়ার ১০০ দিনের মাথায় সিজিও কমপ্লেক্স অভিযান করবে সিপিএম। দলীয় সূত্রে খবর, রাজ্য কমিটির বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও বৃহস্পতিবারের বৈঠকে উঠে এসেছে তন্ময় ভট্টাচার্যের প্রসঙ্গও। পাশাপাশি রাজ্য সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়েও আলোচনা হয়ে কমিটির বৈঠকে।
বৃহস্পতিবার আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে ছিল সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠক। সিপিএম সূত্রে খবর, বৈঠকের প্রারম্ভিক ভাষণে তন্ময়ের প্রসঙ্গের অবতারণা করেন রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। ব্যাখ্যা করেন কেন তন্ময়কে সাসপেন্ড করে বিষয়টি আইসিসিতে পাঠানো হয়েছে। সূত্রের খবর রাজ্য কমিটির বৈঠকে সেলিম জানিয়েছেন, এক জন মহিলা সাংবাদিক পেশাগত কারণে গিয়ে যে অভিযোগ তুলেছেন, সেই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে দল পদক্ষেপ করেছে। এ ব্যাপারে দল পদক্ষেপ না করলে দলের ভূমিকা নিয়ে জনমানসে প্রশ্ন উঠত। উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই সিপিএম নেতা তন্ময়ের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তোলেন এক মহিলা সাংবাদিক। সেই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় সিপিএম। সাসপেন্ড (নিলম্বিত) করা হয় এই সিপিএম নেতাকে। এমনকি দলীয় কমিটির সামনে হাজিরাও দিতে হয় তাঁকে।
তন্ময়ের বিষয় ছাড়াও আরজি কর প্রসঙ্গ নিয়েও বৃহস্পতিবারের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সিপিএম সূত্রের খবর, আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে আবার সংগঠনকে রাস্তায় নামতে বলেছেন দলীয় নেতৃত্ব। বৈঠকেই ঠিক হয় আগামী কর্মসূচির বিষয়। আগামী ২১ নভেম্বর আরজি করের ঘটনার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার ১০০ দিন হবে। সেই দিনই সিজিও কমপ্লেক্স অভিযান করবে সিপিএম।
এ ছাড়াও, রাজ্য সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়েও আলিমুদ্দিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আগামী রাজ্য সম্মেলন হুগলি জেলায় হবে বলে আগেই ঠিক হয়েছিল সিপিএমে। প্রথমে চন্দননগর এবং পরে রিষড়া বা কোন্নগরের কথা ভাবা হলেও শেষ পর্যন্ত ঠিক হয়েছে, ডানকুনি শহরে আগামী বছর ২২ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি দলের রাজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সেই সম্মেলন প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখতে নারাজ সিপিএম। পাশাপাশি, এরিয়া স্তরের সম্মেলনে যাতে নির্দেশিকা লঙ্ঘন না হয় সে ব্যাপারে জেলার নেতাদের কঠোর হওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে বলেও সিপিএম সূত্রের খবর।