নোটিস মুর্শিদাবাদের সীমান্তবর্তী গ্রামের বৃদ্ধাকে। —প্রতীকী ছবি।
সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিতে মুর্শিদাবাদের লালগোলার সীমান্তবর্তী গ্রামে অনেকের থেকেই জমি কিনেছিল রাজ্য সরকার। সেই সময় সরকারকে ভুল বুঝিয়ে জমি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক বৃদ্ধার বিরুদ্ধে। সেই বৃদ্ধাকে এ বার নোটিস ধরাল জেলা প্রশাসন। বলা হল, জমি ফেরত নিয়ে সরকারি টাকা ফেরত দিতে হবে!
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, লালগোলা সীমান্তবর্তী গ্রামে কাঁটাতারের বেড়া দিতে কিছু জমির প্রয়োজন ছিল। সেই জমি কেনা হয় স্থানীয়দের থেকে। ওই মহিলার থেকে বিঘা দেড়েক জমি কিনেছিল রাজ্য। ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিকেরা ওই কাজটি করেছিলেন। পরে বিভিন্ন নথি ঘাটতে গিয়ে গলদ ধরা পড়ে। প্রশাসনের দাবি, ওই বৃদ্ধা নাকি ‘ভুল বুঝিয়ে’ অতিরিক্ত জমি বিক্রি করে দিয়েছে সরকারকে! এই মর্মেই ব়ৃদ্ধাকে নোটিস দেওয়া হয়েছে।
মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র বলেন, ‘‘কেউ যদি শরিকি সম্পত্তির তথ্য গোপন করে নিজের বলে বিক্রি করে দেন, তা হলে প্রশাসনের প্রাথমিক ভাবে যা করার, সেটাই আমরা করেছি। যদি এ পথে কাজ না–হয়, তখন আমরা আইনানুগ পদক্ষেপ করব।’’
এই পরিস্থিতিতে ওই বৃদ্ধা কলকাতা হাই কোর্টের আইনজীবী অরিন্দম দাসের দ্বারস্থ হন। মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনকে পাল্টা নোটিস পাঠিয়েছেন মহিলার আইনজীবীও। আইনজীবীর বক্তব্য, এক ব়ৃদ্ধা সরকারকে ‘ভুল বুঝিয়ে’ জমি বিক্রি করে দিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে, তা নিতান্তই হাস্যকর।