ধরমপুরে ফের শুরু হল কবাডি প্রতিযোগিতা

ইনসান, কিবরিয়া, বোল্ডার, জাব্বার, সালেক, মালেক...। এলাকার ওই সব খেলোয়াড়দের নাম এক সময় লোকেদের মুখে মুখে ঘুরত। তাঁদের কবাডি খেলা দেখতে মানুষের ভিড় উপচে পড়ত। ইনসানদের কৃতিত্বেই কবাডি খেলায় রাজ্য স্তরে নাম উঠেছিল রামপুরহাট মহকুমার। কিন্তু ৩০-৩৫ বছর আগের ওই সবই এখন ইতিহাসে পরিণত হয়েছে। এলাকায় এখন কবাডি খেলার প্রচলন প্রায় নেই বললেই চলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নলহাটি শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৪ ০২:০২
Share:

ধরমপুরে কবাডি প্রতিযোগিতা দেখতে জনতার ঢল। রবিবার ছবিটি তুলেছেন অনির্বাণ সেন।

ইনসান, কিবরিয়া, বোল্ডার, জাব্বার, সালেক, মালেক...। এলাকার ওই সব খেলোয়াড়দের নাম এক সময় লোকেদের মুখে মুখে ঘুরত। তাঁদের কবাডি খেলা দেখতে মানুষের ভিড় উপচে পড়ত। ইনসানদের কৃতিত্বেই কবাডি খেলায় রাজ্য স্তরে নাম উঠেছিল রামপুরহাট মহকুমার। কিন্তু ৩০-৩৫ বছর আগের ওই সবই এখন ইতিহাসে পরিণত হয়েছে। এলাকায় এখন কবাডি খেলার প্রচলন প্রায় নেই বললেই চলে। এই করুণ অবস্থাতেই জেলার ক্রিড়া ক্ষেত্রে হাসি ফুটিয়েছে নলহাটি থানার ধরমপুর মুসলিম পাড়া। ১২ বছর ধরে বন্ধ থাকা গ্রামের বিখ্যাত কবাডি প্রতিযোগিতাটি মাস খানেক আগে ফের চালু করেছেন সেখানকার বাসিন্দারা।

Advertisement

ওই ১৬ দলীয় কবাডি প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হল মাড়গ্রাম থানার শিবপুর গ্রাম। রবিবার গ্রামের হাইস্কুল মাঠে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত খেলাটি মাড়গ্রাম থানারই অনন্তপুর এবং শিবপুর গ্রামের মধ্যে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অনন্তপুর ফাইনালে না খেলায় উদ্যোক্তারা শিবপুরকেই চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করেন। ফাইনাল না হলেও এ দিন অবশ্য শিবপুরের কবাডি দলের সঙ্গে ধরমপুর গ্রামের কবাডি দলের বন্ধুত্বপূর্ণ একটি খেলা হয়। পঞ্চাশ মিনিটের ওই খেলায় ৮ পয়েন্টে জয়ী হয় শিবপুর। উদ্যোক্তারা জানান, ১২ বছর পর ধরমপুর গ্রামে এই প্রতিযোগিতা হল। ২৪ সেপ্টেম্বর প্রতিযোগিতা শুরু হয়। নলহাটি থানার নগরা, বুজুং, পাহাড়ি, মাড়গ্রাম থানার মাড়গ্রাম থেকেও কবাডি দল ওই প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছিল। প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন দল শিবপুর গ্রামের হয়ে রাজ্য স্তরে খেলা কবাডি খেলোয়াড়েরা যোগ দিয়েছিলেন। এ ছাড়া পাহাড়ি, নগরা গ্রামের কবাডি দলের খেলা দর্শকদের ভাল লেগেছে। এক মাস ব্যাপী এই খেলা ঘিরে এলাকায় ভাল উন্মাদনা তৈরি হয়েছিল। উদ্যোক্তারা এবার থেকে প্রতি বছর এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement