পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় এক কিশোরের আহত হওয়াকে ঘিরে পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধ বাধল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ লাঠি চালায়। সোমবার বিকেলে বরাবাজারের বামুনডিহা গ্রামের ঘটনা। এ দিন বিকেল ৩টে নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে পুরুলিয়া-বরাবাজার রাস্তায়। স্থানীয় শ্যামরলা গ্রামের কিশোর শুভম পরামানিক কয়েক জন বন্ধুর সঙ্গে সাইকেলে টিউশনি পড়তে যাচ্ছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওই সময় পুলিশের একটি গাড়ি পুরুলিয়া থেকে বরাবাজার অভিমুখে যাচ্ছিল। গাড়িটি পিছন দিক থেকে পড়ুয়াদের সাইকেলে ধাক্কা মারলে শুভম ছিটকে পড়ে যায়। তার সাইকেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আহত অবস্থাতেও শুভম খাতা বার করে গাড়ির নম্বর লিখতে যায়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেই সময় গাড়ি থেকে এক পুলিশকর্মী নেমে শুভমকে মারতে থাকেন। শুভমের বন্ধুদের চিৎকারে লোকজন জড়ো হয়ে যায়। এ সবের মধ্যে পুলিশের গাড়িটি পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা পথ অবরোধ করেন। দেড় ঘণ্টা পরে বরাবাজার থানা থেকে পুলিশ বাহিনী অবরোধ তুলতে এলে জনতার সঙ্গ তাদের খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। পুলিশের গাড়ি লক্ষ করে জনতা ইট ছুড়তে থাকে। অভিযোগ, অবরোধ হঠাতে পুলিশ লাঠি চালায়। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার নীলকান্ত সুধীরকুমারের দাবি, “পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় ওই কিশোর আহত হয়নি। কোনও পুলিশকর্মী তাকে মারধরও করেননি। কোন গাড়ির ধাক্কায় ওই কিশোর আহত হয়েছে, তার খোঁজ চলছে।” তিনি জানান, অবরোধ তুলতে গিয়ে পুলিশই তখন জনতার হাতে তারা আক্রান্ত হয়। ইটের ঘায়ে কয়েক জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন বলেও এসপি-র দাবি। তবে, লাঠি চালানোর কথা তিনি মানেননি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ওই রাস্তায় পুলিশের টহলদারি চলছে। আহত শুভমকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।