সিপিএম-তৃণমূল বিবাদের মাঝে পড়ে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বিকেলে বরাবাজার থানার লাকা গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম বিভূতি মাহাতো (৭০)। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার নীলকান্ত সুধীর কুমার বলেন, “দু’পক্ষের গোলমাল চলাকালীন ওই বৃদ্ধ অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারান। তিনি হৃদ্রোগে ভুগছিলেন। তার জেরেই অসুস্থ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, লাকা গ্রামে পুকুরের জল ব্যবহার করা নিয়ে সিপিএম এবং তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে বিবাদ বেধেছিল। পুকুরের মালিক তৃণমূল সমর্থক। দু’পক্ষের বিবাদ মেটাতে স্থানীয় তৃণমূল নেতা অশ্বিনী মাহাতোর নেতৃত্বে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। শনিবার বিকেলে সেই বৈঠকে দু’পক্ষের বচসা বাধে। পরে তা গড়ায় হাতাহাতিতে। ইট-পাটকেল ছোড়া শুরু হয়।
প্রাণে বাঁচতে তৃণমূলের লোকজন পালিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা বিভূতি মাহাতোর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। কিছুক্ষণের মধ্যে সিপিএম সমর্থকেরাও সেখানে পৌঁছে যায়। দু’পক্ষের চিৎকার-চেঁচামেচির মাঝে পড়ে বৃদ্ধ বিভূতিবাবু জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। দু’পক্ষই বরাবাজার থানায় পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। মারপিটে জখম এক তৃণমূল সমর্থক পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সিপিএমের পাঁচ জন ভর্তি আছেন বরাবাজার ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
বরাবাজারের বাসিন্দা, জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য সুনীতা সিংহ মল্ল রাতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “এই ঘটনায় রাজনীতির রং লাগলেও এটি রাজনৈতিক সংঘর্ষ নয়।” সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীয় সদস্য কৃষ্ণপদ সিংহ দেও জানান, পুরনো বিবাদের জেরেই এই ঘটনা। এ প্রসঙ্গে জেলা পুলিশ সুপারের বক্তব্য, “পুকুরের জল ব্যবহার নিয়ে বিবাদ চলছিল। দু’পক্ষ দু’দলের সমর্থক হওয়ায় ঘটনায় রাজনৈতিক রং লেগেছে।