দরজার সামনে পড়ে ভাঙা তালা।—নিজস্ব চিত্র।
বাড়ির কর্তার গিয়েছিলেন রাতে কারখানায় কাজ করতে। গরমের জ্বালায় দুই মেয়েকে নিয়ে স্ত্রী শুতে গিয়েছিলেন ছাদের। সেই সুযোগে দরজার তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে টাকা-গয়না সাফ করে দিয়ে গেল চোর। শনিবার রাতে বিষ্ণুপুর থানার দ্বারিকা গ্রামের ঘটনা। রবিবার ভোরে ছাদ থেকে নেমে সব দেখে চক্ষুচড়ক গাছ বাড়ির লোকের।
শনিবার রাতে গৃহকর্তা ত্রিভঙ্গ নন্দী কারখানায় কাজে গিয়েছিলেন। বাড়িতে দুই মেয়েকে নিয়ে ছিলেন তাঁর স্ত্রী অর্চনাদেবী। তাঁদের বড় মেয়ে মৌ নন্দী বলেন, “এ দিন ভোরে ছাদ থেকে নেমে দেখি ঘরের তালা ভাঙা। মেঝেতে রক্ত পড়ে রয়েছে। ঘরের জিনিসপত্র সব ওলোটপালট দেখেই বুঝে যাই রাতে চোর ঢুকেছিল। টেবিলের ড্রয়ার হাতড়ে দেখি গয়না উধাও। বিছানার তলায় কিছু টাকা ছিল। তাও নেই।” তাঁর ডাকেই ছাদ থেকে নেমে আসেন মা ও বোন। অর্চনাদেবী ফোন করে স্বামীকে খবর দেন। খবর পেয়ে পড়শিরা ছুটে আসেন। স্থানীয় বাসিন্দা অজয় রায়, প্রশান্ত নন্দীরা বলেন, “অতিরিক্ত গরমের জন্য গ্রামের অনেকেই বাড়ির ছাদে শুতে যান। তা বলে এ রকম ঘটনা ঘটবে কেন? আমাদের তো কোনও নিরাপত্তাই নেই।”
বাড়ির কর্তা দুপুরে থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্তে আসে। এলাকায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য দীনবন্ধু মাঝি বলেন, “এমন ঘটনা আগে ঘটেনি। পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।” প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, তালা ভাঙতে গিয়ে চোরের হাত কেটে রক্ত পড়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।