ডাম্পারে ছাই পরিবহণ বন্ধ করল সাঁওতালডিহি তাপবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। শনিবার সাঁওতালডিহি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার স্বপন মাইতি নিজের অফিসে সাঁওতালডিহি থানার ওসি ত্রিগুণা রায়, প্রশাসনের প্রতিনিধি ও ছাই-সমস্যায় পড়া ১০টি গ্রামের ২০ জন গ্রামবাসীকে নিয়ে আলোচনায় বসেন। বৈঠক শেষে জেনারেল ম্যানেজার বলেন, “আপাতত ছাই পরিবহণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে দামোদরপুর গ্রামের কাছে মজুত করা ছাইয়ের স্তূপ কেটে পাশে ফেলা হবে। তার উপরে মাটিও ফেলা হবে। ফলে ছাই উড়বে না। এই কাজ না হওয়া পর্যন্ত ছাইপুকুর থেকে দামোদরপুরে ছাই পরিবহণ বন্ধ রাখা হচ্ছে।” ডাম্পারগুলি ছাই পরিবহণের সময় ভাল করে ঢাকা দেওয়ার দাবি জানান বাসিন্দারা।
বিদ্যুৎকেন্দ্র লাগোয়া কুমোরডি, আল্হাডি, ইছড়, কামারগোড়া, নবগ্রাম, আগুইট্যাড়, চকবাইদ গ্রামের বাসিন্দারা অভিযোগ তুলেছিলেন, শুক্রবার দুপুরের দিকে হঠাৎ জোরে হাওয়া বইতে শুরু করায় ছাই উড়ে ওই সব গ্রামের বাড়িঘরের উপরে পড়েছে। ছাই উড়ে পড়ায় স্থানীয় একটি প্রাথমিক স্কুলও স্কুল বন্ধ করে দিতে হয়। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সামনে গিয়ে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। গ্রামে গিয়ে সাওঁতালডিহি থানার পুলিশও বিক্ষোভের মুখে পড়েন। পরে গ্রামগুলিতে গিয়ে পরিস্থিতি সরেজমিন খতিয়ে দেখেছেন বিদ্যুৎকেন্দ্রের আধিকারিকেরা। বিক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরাও। তবে বাসিন্দারা সমস্যা কাটাতে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।