গাছ লাগানোর জন্য সমীক্ষা ও জমি মাপজোক করতে আসা বনকর্মীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল একটি বন্ধ বারুদ কারখানর শ্রমিকদের বিরুদ্ধে। রবিবার দুপুরে ঘাটানাটি ঘটে সদাইপুর থানা এলাকার আদুরিয়া গ্রামের অদুরে চকনাকরতলি মৌজায়। কর্মীদের বাধা দেওয়ায় এ দিনের মতো কাজ স্থগিত রাখতে হয়েছে। জেলা বনাধিকারিক সন্তোষা জি আর বলেন, “যাঁরা বাধা দিয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।” যদিও বনকর্মীদের বাধা দেওয়ার আভিযোগ মানতে নারাজ চিপপাইয়ের বন্ধ হয়ে যাওয়া বারুদ কারখানার শ্রমিকেরা। তাঁদের দাবি, বাধা নয়। ওঁদের অনুরোধ করা হয়েছিল যেন কারখানার অধীনে থাকা বনবিভাগের জমিতে গাছ লাগানো না হয়।
কিন্তু কেন? ওই শ্রমিকদের কথায়, ইস্টার্ন এক্সপ্লোসিভ কেমিক্যালস লিমিটেড নামে চিনপাইয়ে এই বারুদ কারখানার সূচনা হয়েছিল ১৯৮৩ সালে। ওই বছর পরীক্ষামূলক ভাবে উৎপাদন শুরু হয়। তবে বাণিজ্যিক ভাবে উৎপাদন শুরু হয় ১৯৮৪ সালে। যে জমির উপর কারখানা ছিল সেটির পরিমাপ প্রায় ১২৩৬ একর। করাখানার ৩০ শতাংশ শেয়ার হোল্ডার ছিল ডব্লিউ.বি.আই.ডি.সি এবং বাকি আইডিএল কেমিক্যালসের। ব্যক্তিগত মালিকানা পাট্টা মিলিয়ে ৪২০ একর এবং বনদফতর লিজ দিয়েছিল বাকি ১২০০ একর জমি। ১৯৯৬ সালে হঠাৎ এই কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। স্থায়ী, অস্থায়ী শ্রমিক মিলিয়ে ৩৫০ জন কর্মী কাজ হারান। শ্রমিক মধ্যে মৃণালকান্তি মিত্র, শেখ মারফতউল্লা, হাফিজুল ইসলাম, রহিম শেখদের দাবি, “কারখানা থেকে আমাদের পাওনা-গণ্ডা অনেক বাকি। ইতিমধ্যেই কারখানাটি ধুলোয় মিশেছে। চুরি হয়ে গিয়েছে সব যন্ত্রপাতি। এমন অবস্থায় যদি বনদফতর গাছ লাগিয়ে দেয়, তা হলে জমিটাও গেল। সে ক্ষেত্রে আমাদের আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার শেষ সুযোগও হারাব। তাই বনকর্মীদের আমরা অনুরোধ করেছিলাম মাত্র।” ডিএফও অবশ্য এমন দাবি মানতে নারাজ। তিনি বলছেন, “এখনও জমিটি বনদফতরের। তাই গাছ লাগানোয় কোনও সমস্যা থাকার কথা নয়। আর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে বনদফতরের জায়গায় অবশ্যই গাছ লাগাতে হবে। সেক্ষেত্রে এমন বাধা দেওয়ার ক্ষমতা কারও নেই।”
গ্রেফতার পাঁচ। পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে বাবুগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের একটি আবসনে সিআইডি-র সিল করে যাওয়া দরজার তালা ভাঙে চুরির ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতেরা সকলেই বাবুগ্রামের বাসিন্দা। শুক্রবার রাতে পুলিশ প্রথমে গ্রেফতার করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের একটি নির্মীয়মান ভবনে ঠিকার ভিত্তিতে নিযুক্ত নৈশরক্ষী সুনীল চক্রবর্তীকে। তাকে জেরা করার পরে শনিবার রাতে আরও চারজনকে ধরেছে পুলিশ। বুধবার চুরির ঘটনা ঘটেছিল।