37A Bus Route

সম্পাদক সমীপেষু: পুরনো পথে

পরিবহণ দফতরের স্বীকৃতিক্রমে ২০১৫ থেকে নয়াবাদ ও হাওড়া স্টেশনের মধ্যে চলত। কিন্তু অতিমারির সময় এই পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২৪ ০৭:৫৬
Share:

‘রাতের শহরে বাস বাড়ন্ত, খাঁড়ার ঘা বাতিলের সময়সীমাও’ (৩-১১) সংবাদটি পড়লাম। নির্দিষ্ট কয়েকটি বাসরুট বাদে বেশির ভাগ গণপরিবহণের হাল শোচনীয়। যদিও অতিমারির পরে কিছু রুটের বাস নতুন সংশোধিত পথে চলেছে। এই ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য ৩৭এ বাসের কথা, যেটি পরিবহণ দফতরের স্বীকৃতিক্রমে ২০১৫ থেকে নয়াবাদ ও হাওড়া স্টেশনের মধ্যে চলত। কিন্তু অতিমারির সময় এই পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়।

Advertisement

পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে অন্যান্য রুটে বাস চলা শুরু হলেও, ৩৭এ বাসটি কিন্তু তার পুরনো রুটে চলাচল করেনি। এখন এই বাসটির পথ হল ঢাকুরিয়া ও হাওড়া স্টেশন। কিন্তু যাঁরা এই বাসের নিত্যযাত্রী ছিলেন, তাঁদের কাছে এখনও এটি পরিষ্কার নয় বাস পরিষেবার রুট কেন পরিবর্তিত হল? এই নতুন রুটটি কি পরিবহণ দফতর দ্বারা স্বীকৃত? এই ব্যাপারে ‘সিটিজ়েনস ফোরাম’ অনেক বার পরিবহণ দফতরের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করেছে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সমাধান হয়নি। পরিবহণ মন্ত্রী তথা রাজ্য পরিবহণ দফতরের কাছে অনুরোধ, জনগণের সুবিধার্থে অবিলম্বে ৩৭এ বাসটিকে পুনরায় অতিমারি পূর্ববর্তী নয়াবাদ-হাওড়া রুটে ফিরিয়ে আনা হোক।

তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা-৯৪

Advertisement

অযথা ব্যয়

আমি এক জন সত্তরোর্ধ্ব মহিলা। এই বছরেই কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে আমার দুটো হাঁটু এক সঙ্গে প্রতিস্থাপিত হয়েছে। খরচ হয় ৩.৭২ লক্ষ টাকা। আমার বেসরকারি স্বাস্থ্যবিমা ছাড়াও রাজ্য সরকারের ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড আছে। অসুস্থ পায়ে ঘণ্টাচারেক লাইন দিয়ে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড করিয়েছিলাম। দুঃখের বিষয়, হাঁটু প্রতিস্থাপন ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হাসপাতালে গৃহীতই হল না। সেখানে শুধু বেসরকারি বিমা গ্রাহ্য হয়। ফলে আমার পেনশনভোগী স্বামীর আনুমানিক এক লক্ষ টাকা খরচ হল। প্রধানমন্ত্রী এ রাজ্যের প্রবীণদের ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্পের সুবিধা দিতে না পারায় ক্ষমা চেয়েছেন। আমি রাজনীতি বুঝি না। কিন্তু এটা ঠিক যে, ওই হাসপাতালে যদি আয়ুষ্মান প্রকল্পের প্রবেশাধিকার থাকত, তা হলে এক লক্ষ টাকা ব্যয় হত না।

ইন্দ্রাণী ঘোষ, কলকাতা-৩৪

শব্দদানব

আমার বাসস্থান দক্ষিণ কলকাতার একটি নামকরা বেসরকারি হাসপাতাল সংলগ্ন। এই বছরের দীপাবলি এবং কালীপুজো উপলক্ষে সমস্ত বিধি-নিষেধ অগ্রাহ্য করে গত কয়েক দিন যে ভাবে শব্দবাজি এবং মাইকের তাণ্ডব দেখলাম, তাতে প্রশাসনের সদিচ্ছা সম্বন্ধে যথেষ্ট সন্দিহান হওয়ার অবকাশ আছে। সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পার করে এই তাণ্ডব চলেছে। পুলিশ প্রশাসনের কাউকেই ত্রিসীমানায় দেখা যায়নি। কোনও সভ্য দেশে এমন অনাচার চলে বলে জানা নেই।

অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা-২৯

কাটা পেট্রল

গত কয়েক বছর ধরে মফস্‌সল বা গ্রামের বাজার-হাটে পেট্রল বিক্রি হতে দেখা যায়। মুদিখানা, স্টেশনারি দোকান, আনাজের দোকানের সামনে কাঠের বেঞ্চ বা টুলে ১ লিটার ও হাফ লিটারের প্লাস্টিকের জলের বোতলে পেট্রল সাজানো থাকে। এই ভাবে কাটা পেট্রল বিক্রি আইনত দণ্ডনীয়। তা সত্ত্বেও বিভিন্ন দোকানে প্রকাশ্যে কাটা পেট্রল বিক্রি বন্ধ হয়নি। কিছু দিন আগে উলুবেড়িয়ায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে দুই শিশু ও এক বালিকার মৃত্যু হয়। অনুমান করা হয় ঘরের মধ্যে দাহ্য পদার্থ থাকায়, বাজির আগুন থেকে ওই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। কিন্তু স্থানীয়দের দাবি, ঘরে কাটা পেট্রল মজুত ছিল, যা লাগোয়া মুদিখানার দোকান থেকে বিক্রি করা হত। রাজ্য জুড়ে এমন কাটা পেট্রল বিক্রি পাকাপাকি ভাবে বন্ধ হওয়া দরকার।

অপূর্বলাল নস্কর, ভান্ডারদহ, হাওড়া

সরুক ভ্যাট

উত্তর কলকাতার শোভাবাজার রাজবাড়ির দুর্গাপুজো এই শহরের একটি বিশিষ্ট দুর্গাপুজা হিসাবে জনমানসে পরিচিত। প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ এই পুজো দর্শন করতে রাজবাড়িতে উপস্থিত হন। অথচ, এই ঐতিহাসিক অট্টালিকাটির নাটমন্দিরের ঠিক পিছনেই একটি জঞ্জালের ভ্যাট আছে, যার সামনে দিয়ে দর্শনার্থীদের ওই মন্দিরে প্রতিমা দর্শনের জন্য যেতে হয়। রাজ্য সরকার কলকাতাকে তিলোত্তমা বানানোর জন্য অনেক পদক্ষেপ করেছে। তাই প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, নাটমন্দিরের পিছনের ওই ভ্যাটটিকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। শহরের সৌন্দর্যায়ন যখন প্রশাসনের অন্যতম লক্ষ্য, তখন তাতে ত্রুটি থাকে কেন?

অতনু বন্দ্যোপাধ্যায়, কীর্ণাহার, বীরভূম

ট্রেনে দেরি

সম্প্রতি আন্দুল রোডে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। সঙ্গী এক ভদ্রলোক জানালেন, তিনি আন্দুল স্টেশনে ট্রেন না পেয়ে বাসের জন্য এসেছেন। তিনি আরও বলেন যে, বছর দুয়েকের বেশি সময় ধরে চলছে এই দুর্ভোগ। বহু মানুষ, যাঁরা কলকাতার বিভিন্ন মল-এ, দোকানে বা অন্যান্য জায়গায় কাজ করেন, তাঁদের অনেকেই কাজ হারিয়েছেন শুধু এই অনিয়মিত ট্রেনের জন্য।

দক্ষিণ-পূর্ব শাখায় লোকাল ট্রেন এমনিতেই বেশ কম। এর মাঝে আধ ঘণ্টার সফরের গাড়ি যদি এক ঘণ্টা দেরি করে, তা হলে বিবিধ সমস্যার সম্মুখীন হওয়াই স্বাভাবিক। সম্প্রতি অনেক নতুন ট্রেন ইত্যাদি ঘোষণা হচ্ছে, তাতে নিশ্চয়ই অনেকের উপকার হবে। কিন্তু দক্ষিণ-পূর্ব শাখার নিত্যযাত্রীদের দুর্ভোগ যেন দিন দিন বাড়ছে। কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছি।

শিবপ্রসাদ রায় চৌধুরী, হাওড়া

দুর্নীতি

সম্প্রতি হাওড়া ফেরিঘাট থেকে ফেয়ারলি প্লেস, বিবাদী বাগ ঘাটে লঞ্চে ফিরব বলে টিকিট কেটে ঢোকার মুখে দেখি টিকিট স্ক্যান করে ঢোকার জন্য একটি গেট রাখা হলেও পাশের দু’টি গেট সম্পূর্ণ খোলা অবস্থায় রাখা হয়েছে। টিকিটটি স্ক্যান করে ঢুকতে যেতেই পাশে টুলে বসা এক ব্যক্তি আমার মতো অন্য সব যাত্রীর কাছ থেকে টিকিটগুলি চেয়ে নিয়ে খোলা গেট দিয়ে ঢুকে যেতে নির্দেশ দিলেন। আমার ধারণা, অবিকৃত ওই টিকিটগুলি পুনর্বার বিক্রির জন্য কাউন্টারে চলে যাবে। এতে কিছু লোকের অনৈতিক ভাবে অর্থ উপার্জন হবে ঠিকই, কিন্তু লোকসানের মুখে পড়বে জলপথ পরিবহণ ব্যবসা। ফেরার পথেও একই দৃশ্য দেখলাম। নিত্যদিন চলতে থাকা এই দুর্নীতি রোধ করা যায় না?

সমীর কুমার ঘোষ, কলকাতা-৬৫

খারাপ আটা

বর্তমানে স্বরূপনগর ব্লকের গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রামীণ এলাকায় রেশন থেকে যে আটা দেওয়া হচ্ছে, তা মানুষের খাওয়ার অযোগ্য। আগেও এমন আটা দেওয়া হত। মাঝের বেশ কয়েক মাস ভাল আটা পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু আবার সেই পূর্বের অবস্থা ফিরে এসেছে। প্রশাসনের কাছে আবেদন, ভাল আটা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক, অথবা সেই পরিমাণ গম দেওয়া হোক, যাতে মানুষ নিজের মতো করে গম ভাঙিয়ে আটা পেতে পারেন।

সরবত আলি মণ্ডল ,বালকি, উত্তর ২৪ পরগনা

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement