ইস্তফা দিলেন না প্রধান

দলীয় নির্দেশ অমান্য করে দুবরাজপুরের বালিজুড়ি পঞ্চায়েতের প্রধান পদে ইস্তফা দিলেন না শিবঠাকুর মণ্ডল। বিক্ষুব্ধ তৃণমূল সদস্যদের চাপে বৃহস্পতিবারই ওই প্রধানকে ইস্তফা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ভোলানাথ মিত্র। কিন্তু এখনও কোনও ইস্তাফাপত্র তিনি হাতে পাননি বলে জানান দুবরাজপুরের বিডিও কুণাল বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুবারাজপুর শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০০:৫৩
Share:

দলীয় নির্দেশ অমান্য করে দুবরাজপুরের বালিজুড়ি পঞ্চায়েতের প্রধান পদে ইস্তফা দিলেন না শিবঠাকুর মণ্ডল। বিক্ষুব্ধ তৃণমূল সদস্যদের চাপে বৃহস্পতিবারই ওই প্রধানকে ইস্তফা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ভোলানাথ মিত্র। কিন্তু এখনও কোনও ইস্তাফাপত্র তিনি হাতে পাননি বলে জানান দুবরাজপুরের বিডিও কুণাল বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

২৯ ডিসেম্বর আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বালিজুড়ি পঞ্চায়েতের তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান শিবঠাকুর মণ্ডলের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন সাত দলীয় সদস্য। দলীয় সদস্যরাই অনাস্থা আনায় প্রবল অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল নেতৃত্বকে। দলের অস্বস্তি ঢাকতে বহু চেষ্টায় তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রাস্তাব ভোটাভুটি পর্যন্ত গড়াতে দেননি নেতৃত্ব। বিক্ষুব্ধদের অনমনীয় মনোভাব দেখে এবং তাঁদের শান্ত করতে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করতে হয় খোদ তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। ঠিক হয় ভোটাভুটির প্রয়োজন নেই। এমনিতেই সরিয়ে দেওয়া হবে ওই প্রধানকে। দলীয় হস্তক্ষেপে বিক্ষুব্ধ সদস্যরা ১৩ জানুয়ারি ভোটাভুটির দিন অনুপস্থিত থাকায় অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হয়ে যায়।

তবে, আগের নিয়ম অনুযায়ী কেউ আর ওই প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে পারবেন না। আর পঞ্চায়েত আইনে সর্বশেষ সংশোধন অনুযয়ী আড়াই বছরের আগে কোনও পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধেই অনাস্থা আনাও যাবে না। আর এটাকেই হাতিয়ার করতে চাইছেন বলে ঘনিষ্ট মহলে একথা জানিয়েছেন প্রধান শিবঠাকুর। তবে এই বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি তিনি। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের যদি প্রধান নিজে ইস্তফা দিতে না চান, তা হলে জোর করে সেটা করতে পারেন না কেউই।

Advertisement

তা হলে, বিক্ষুব্ধ সদস্যদের বাগে আনতে যে পদক্ষেপের ঘোষণা সেটা কার্যকর না হলে দলের তরফে কী করণীয়? ব্লক সভাপতি ভোলানাথ মিত্র বলছেন, “খোদ জেলা সভাপতির নির্দেশ অনুযায়ী ওই প্রধানকে ইস্তফা দিতে বলা হয়েছিল। কারণ, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। এখন যদি উনি সেটা না করেন কী করে তাঁকে ইস্তফা দেওয়াতে হয় দল জানে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement