হুমকির মুখে গ্রামছাড়া

আদিবাসী বধূকে যৌন নির্যাতন, অভিযুক্ত পাঁচ

এক আদিবাসী বধূকে যৌন নিগ্রহ করে গ্রামছাড়া করার অভিযোগ উঠল গ্রামেরই কয়েক জন যুবকের বিরুদ্ধে। দুবরাজপুর থানার পদুমা পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা। ঘটনাটি শনিবার গভীর রাতে ঘটলেও গ্রামছাড়া ওই বধূ সোমবার সন্ধ্যায় পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে পেরেছেন। এ দিনই শারীরিক পরীক্ষার জন্য বধূটিকে পুলিশ সিউড়ি হাসপাতালে পাঠিয়েছে। জেলার পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “ঠিক কী হয়েছে, তা আমি এখনও জানি না। তবে, ওই বধূর সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুবরাজপুর শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:২১
Share:

এক আদিবাসী বধূকে যৌন নিগ্রহ করে গ্রামছাড়া করার অভিযোগ উঠল গ্রামেরই কয়েক জন যুবকের বিরুদ্ধে। দুবরাজপুর থানার পদুমা পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা। ঘটনাটি শনিবার গভীর রাতে ঘটলেও গ্রামছাড়া ওই বধূ সোমবার সন্ধ্যায় পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে পেরেছেন। এ দিনই শারীরিক পরীক্ষার জন্য বধূটিকে পুলিশ সিউড়ি হাসপাতালে পাঠিয়েছে। জেলার পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “ঠিক কী হয়েছে, তা আমি এখনও জানি না। তবে, ওই বধূর সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বছর খানেক আগেই শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে চলে এসেছিলেন বছর চব্বিশের ওই বধূ। অভিযোগ, শনিবার রাত ১১টা নাগাদ ওই বাড়িতেই গ্রামের দুই যুবক ভবানী সরেন ও রূপু বেশরা চড়াও হন। ঘটনার সময় একটি ঘরে ওই বধূ এবং উঠোনের উল্টো দিকের ঘরে ছিলেন বধূর এক ভাই ও স্ত্রী। বধূ বলেন, “আমার ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। ওরা ধাক্কা মারতে মারতে দরজা খুলে দিতে বলল। আমি চিৎকার শুরু করলে ভাই ও পাড়াপড়শিরা চলে আসে। তখনই ওরা পালিয়ে যায়।” তখন ফিরে গেলেও ঘণ্টা দু’য়েক পরে ফের রাত দুটো নাগাদ ওই দুই যুবক বধূর ঘরে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। বাঁশ দিয়ে দরজা ভেঙে তারা ঘরে ঢুকে পড়ে। তখনই তাঁকে যৌন নিগ্রহ করা হয় বলে বধূর অভিযোগ। বধূ চিৎকার চেঁচামেচিতে এ বারও তাঁর ভাই ও প্রতিবেশিরা ছুটে আসেন। কিন্তু যুবকেরা ফের চম্পট দিতে সক্ষম হয় বলে ওই বধূ জানিয়েছেন।

পরের দিন সকালে এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হয়। বধূ থানায় অভিযোগ জানার কথা মনস্থির করেন। নির্যাতিতার দাবি, সে খবর পেয়েই ওই যুবকেরা তাঁকে পুলিশের কাছে না যাওয়ার জন্য নানা ভাবে চাপ দিতে শুরু করে। তাঁর অভিযোগ, “ওরা ভাইকে জানায়, আমি নাকি মিথ্যা কথা বলছি। তাই বোনকে গ্রামছাড়া করতে হবে। তা না করলে ফল ভাল হবে না বলেও ওরা হুমকি দেয়। পরে গ্রামেরই আরও তিন যুবকের সঙ্গে মিলে ওরা আমাকে বলে, গ্রামে থাকতে গেলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে।” ওই শাসানির পরে রবিবার সকালেই তিনি দুবরাজপুর থানারই অন্যত্র এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরের দিন দুবরাজপুর থানায় এসে পাঁচ জনের বিরুদ্ধেই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ দিন অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। অন্য দিকে, পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement