বড়জোড়ায় সভার প্রস্তুতি। সোমবার ছবিটি তুলেছেন অভিজিৎ সিংহ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ, মঙ্গলবার বাঁকুড়ায় আসছেন। মঙ্গলবার দুপুর ২টোয় খাতড়ার মুকুটমণিপুরে ‘অখিল ভারতীয় আদিবাসী বিকাশ পরিষদ’ আয়োজিত একটি সভায় যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। গোড়াবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ি লাগোয়া মাঠে এই সভায় আয়োজকদের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে ‘নাগরিক অভিনন্দন’ জানিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে এই নিয়ে পঞ্চম বার বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। সভাকে ঘিরে উৎসাহ তৈরি হয়েছে জঙ্গলমহলে। আদিবাসী বিকাশ পরিষদের সম্পাদক ভক্তরঞ্জন সোরেন বলেন, “জঙ্গলমহলের সর্বাঙ্গীন উন্নয়নের জন্য মুখ্যমন্ত্রী নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছেন। সে জন্য আমাদের সভায় তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।” সভায় আদিবাসী সমাজের বিভিন্ন সমস্যা ও দাবিদাওয়া সংবলিত স্মারকলিপিও মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার নামার জন্য হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছে সভাস্থল থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে খাতড়া স্টেডিয়ামে। সেখান থেকে গাড়িতে মুকুটমণিপুর যাওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। বিকেল চারটে নাগাদ বড়জোড়া হাইস্কুল মাঠে বিষ্ণুপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ-এর সমর্থনে জনসভা করার কথা তৃণমূল নেত্রীর। জেলা তৃণমূল সভাপতি অরূপ খাঁ বলেন, “হেলিপ্যাড তৈরি হয়েছে বড়জোড়া কলেজ মাঠে। মাঠে ছাউনির ব্যবস্থা করা হয়েছে।” বাঁকুড়ায় পারা ক্রমশ চড়ছে। দু’টি সভাতেই হাজার হাজার মানুষের ভিড় হবে। তীব্র দাবদাহ এখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দুই সভার উদ্যোক্তাদের কাছে। মুকুটমণিপুরে মুখ্যমন্ত্রীর সভার জন্য যে মঞ্চ বাঁধা হয়েছে, তার সামনে ত্রিপলের ছাউনি দেওয়া থাকবে। সভায় উপস্থিত মানুষজনকে সঙ্গে দু-একটা করে জলের বোতল, পারলে নুন চিনির জল আনার জন্য বলা হয়েছে। বড়জোড়ার সভায় পানীয় জলের আটটি ট্যাঙ্ক রাখার ব্যবস্থা করেছে জেলা তৃণমূল।