অসুস্থতার কারণে এক অভিযুক্তকে আদালতে তুলতে পারেনি পুলিশ। তাই লাভপুরের আদিবাসী তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের দিন পিছিয়ে গেল। আগামী ৩ জুলাই এই ঘটনায় জেল হাজতে থাকা ১৩ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের দিন ধার্য করেছেন বিচারক। বোলপুরের অতিরিক্ত জেলা জজ সিদ্ধার্থ রায়চৌধুরীর মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি এই মামলার সরকারি পক্ষের আইনজীবী তপনকুমার দে’র জায়গায় থাকবেন সুপ্রকাশ হাটি হয়েছেন। তপনকুমার দে বলেন, “লাভপুরের আদিবাসী তরুণী গণধর্ষণের মামলায় তেরো অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার চার্জ গঠনের জন্য বোলপুরের অতিরিক্ত জেলা জজ সিদ্ধার্থ রায়চৌধুরী দিন ধার্য করেছিলেন। কিন্তু এ দিন অসুস্থতার কারণে ১৩ নম্বর অভিযুক্ত দেবরাজ মণ্ডল আদালতে অনুপস্থিত ছিল। তাই এই মামলার সকল অভিযুক্তদের আগামী ৩ জুলাই আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ওই দিন চার্জ গঠন হবে। ওই দিন থেকেই আমার জায়গায় থাকবেন সুপ্রকাশ হাটি।” প্রসঙ্গত, গত ২০ জানুয়ারি লাভপুরের এক আদবাসী তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ওই গ্রামের এক মোড়ল-সহ তেরো জনের বিরুদ্ধে। এই মর্মে ওই আদিবাসী তরুণী ২২ জানুয়ারি লাভপুর থানায় গণধর্ষণের অভিযোগ করেন ওই গ্রামের তেরো জনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ পাওয়ার পরেই তেরো অভিযুক্তকে ওই রাতে গ্রেফতার করে লাভপুর থানার পুলিশ। গ্রেফতারের ৮৬ দিনের মাথায় জেলে থাকা তেরো অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৬টি ধারায় গত ১৮ এপ্রিল বোলপুরের এসিজেএম আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছিল পুলিশ। ওই ঘটনার তদন্তকারী অফিসার ডিএসপি (সদর) পার্থ ঘোষ মোট ৪১৬ পাতার চার্জশিট বোলপুরের এসিজেএম আদালতে জমা দেন। ওই ছয়টি ধারা হল ৩৪২ বেআইনি ভাবে আটকে রাখা, ৩৭৬(ডি) গণধর্ষণ, ৩৮৪ ভয় দেখিয়ে কোনও কিছু আদায় করা, ৩২৬ মারধর, ৩৫৪(এ) অপহরণ করে টাকাপয়সা আদায় ও ৫০৬ হুমকি তথা ভীতি প্রদর্শন করা।
ধর্ষণের দায়ে কারাদণ্ড। আদিবাসী বধূকে ধর্ষণ করে নির্মম অত্যাচার করার দায়ে ১২ বছর কারাদণ্ড হল দুই সিপিএম কর্মীর। মঙ্গলবার পুরুলিয়া জেলা আদালতের ফাস্ট ট্রাক প্রথম আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক কর্ণপ্রসাদ বর্মন এই রায় দেন। আসামীরা হল কাশীপুরের গামারকুড়ির সমীর মাঝি ও ওয়াশিংটন কিস্কু। ২০১২ সালের ২৮ অগস্ট কাশীপুরেয় ফাঁকা বাড়িতে একা পেয়ে এক আদিবাসী বধূকে খাটে বেঁধে ধর্ষণ করে তাঁর যৌনাঙ্গে পাথর ঢুকিয়ে দিয়েছিল ওই দুই যুবক।