পথে নেমেছেন যশপুর ও গাংপুর গ্রামের বাসিন্দারা। নিজস্ব চিত্র
দীর্ঘদিন ধরে ফাঁকা মাঠে খেলাধুলো করে আসছেন লাগোয়া দুই গ্রামের কিশোর-যুবকেরা। সাঁতুড়ি ব্লকের মুরাড্ডি পঞ্চায়েতের মাঠটি স্থানীয় ভাবে যশপুর ফুটবল মাঠ নামে পরিচিত। সম্প্রতি ওই জমির ‘মালিকেরা’ সেটিকে বিক্রি করতে উদ্যোগী হয়েছেন বলে দাবি করে প্রতিবাদে শনিবার মিছিল করলেন যশপুর ও গাংপুর গ্রামের বাসিন্দারা।
যশপুর মাঠ থেকে মিছিল শুরু হয়ে মুরাড্ডি স্টেশন বাজার এলাকা পর্যন্ত যায়। মিছিলে পা মেলান মহিলা থেকে কিশোর-কিশোরীরা। তাঁদের দাবি, এলাকায় এটিই একমাত্র খেলার মাঠ। মাঠে বড় ফুটবল প্রতিযোগিতাও হয়। কোনও ভাবে মাঠ বিক্রি করা চলবে না।
এলাকার বাসিন্দা তারাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের দাবি, জীমূতবাহন চক্রবর্তী ও তাঁর ভাই রোহিনীকান্ত চক্রবর্তী নিতুড়িয়া এলাকার এক ব্যবসায়ীকে মাঠটি বিক্রি করতে উদ্যোগী হয়েছেন। তাঁর দাবি, “পঞ্চাশ বছর আগে মাঠটি এলাকার বাসিন্দাদের মৌখিক ভাবে দান করেছিলেন জীমূতবাহনের বাবা সদানন্দ চক্রবর্তী। তার পরে থেকে পরিবারের কেউই মাঠের দখল নিতে আসেননি।’’ গ্রাম দু’টির বাসিন্দাদের একাংশ আরও জানান, অতীতে মাঠটিকে খেলার উপযুক্ত করে তুলতে স্থানীয় পঞ্চায়েত সরকারি প্রকল্পে নানা কাজ করেছে। সে সময়ে ওই পরিবারের তরফে আপত্তি ওঠেনি। প্রয়োজনে খেলার মাঠটুকু ছেড়ে জমির বাকি অংশ বিক্রি করা হলে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই।
ওই মাঠ তাঁদেরই সম্পত্তি বলে দাবি করে জীমূতবাহন বলেন, “বাবা ওই মাঠ বাসিন্দাদের দান করেন বলে কোনও তথ্য জানা নেই। টাকার প্রয়োজনে জমি বিক্রি করতে উদ্যোগী হয়েছি। কিছু লোকজন অসাধু উদ্দেশ্যে বিক্রি করতে বাধা তৈরি করছেন।’’