প্রতীকী ছবি।
ওড়িশার এক যুবতীকে আটক করেছে বীরভূম জেলা পুলিশ। শুক্রবার সকালে পাড়ুই থানার সেহেনা গ্রাম থেকে ওই যুবতীকে আটক করা হয়। ওই যুবতী ভুয়ো আইপিএস পরিচয় দিয়েছেন বলে এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ। ওড়িশা পুলিশের লোগো ব্যবহার করে পরিচয়পত্র তৈরির অভিযোগও রয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী বলেন, “মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
সেহেনা গ্রামটি সিউড়ি ২ ব্লকের অন্তর্গত। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিজেকে ওড়িশার আইপিএস অফিসার পরিচয় দিয়ে ওই যুবতী সেহেনা গ্রামের বাসিন্দা, সিআরপিএফ জওয়ান শেখ নজরুল ইসলামের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেন। নজরুল নিজেও ওড়িশায় কর্মরত। বন্ধুত্বের সুবাদে ওই জওয়ানের বাড়িতেও অবাধ যাতায়াত ছিল যুবতীটির। কিন্তু, ঘনঘন নজরুলের বাড়ি চলে আসায় তাঁর পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হয়। তাঁরা জানতেও চান, এত ছুটি কী করে তিনি পাচ্ছেন। প্রশ্নের সদুত্তর মেলেনি বলে অভিযোগ। নজরুল তখন ওই যুবতী সম্বন্ধে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নিতে থাকেন। নজরুলদের দাবি, ওড়িশা পুলিশের সঙ্গেও তাঁরা যোগাযোগ করে জানতে পারেন ওই নামে আদৌ কোনও মহিলা আইপিএস অফিসার কর্মরত নেন।
ওই সিআরপিএফ জওয়ান এখন বাড়িতে নেই। তাঁর ভাই শেখ সাগর জানান, তাঁর দাদা না-থাকা সত্ত্বেও শুক্রবার সকালে একটি সাদা গাড়িতে করে ওই যুবতী তাঁদের বাড়ি আসেন। দু’জন তাঁকে বাড়ির সামনে ছেড়ে দিয়ে যায়। প্রতিবেশীরা ওই যুবতীকে ঘিরে ধরে তাঁর সঠিক পরিচয় জানানোর দাবি জানান। খবর পেয়ে গ্রামে পৌঁছয় পাড়ুই থানার পুলিশ। ওই যুবতী সঠিক পরিচয়পত্র দেখাতে না পারায় পুলিশ তাঁকে আটক করে নিয়ে যায়। পুলিশ সূত্রের খবর, তাঁর কাছ থেকে ওড়িশা পুলিশের ডিএসপি পদমর্যাদার একটি পরিচয়পত্র, আইপিএস লেখা একটি পরিচয়পত্র-সহ বেশ কিছু নথিপত্র উদ্ধার করেছে। ওই যুবতী কী উদ্দেশ্য নিয়ে এখানে এসেছিলেন, কেন নিজেকে আইপিএস পরিচয় দিতেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
শেখ সাগরের দাবি, “ভুয়ো পুলিশ অফিসার সেজে আমার দাদাকে বিয়ে করে আমাদের পরিবারের সঙ্গে প্রতারণা করতে চেয়েছিলেন ওই মহিলা। তার আগেই
আমরা জালিয়াতি ধরে ফেলি। আমরা চাই পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।”