কাজ চলছে পাকা রাস্তা তৈরির। নিজস্ব চিত্র
প্রতিশ্রুতি অনুযায়ীই নিহত জওয়ান রাজেশ ওরাংয়ের গ্রামে যাওয়ার রাস্তা পাকা করার কাজ শুরু হল।
লাদাখে ভারত-চিন লাদাখ সীমান্তের যুদ্ধে নিহত হন মহম্মদবাজার ব্লকের ভূতুরা পঞ্চায়েতের বেলগড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা রাজেশ। তারপরেই পরিবারের পাশে থাকার পাশাপাশি গ্রামকে মডেল গ্রামে রূপান্তরিত করার আশ্বাস দেওয়া হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সেই প্রতিশ্রুতি মতোই গ্রামে পিচের রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। সপ্তাহখানেক আগে বাড়িতে পৌঁছয় রাজেশের দু’টি আবক্ষ মূর্তিও। একটি বসানো হবে সমাধিস্থল ও আরেকটি বসানো হবে সেহেড়াকুড়ি মোড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা পূর্ণচন্দ্র ওরাং ও যমুনা ওরাং বলেন, ‘‘আমরা ছোট থেকেই দেখে আসছি আমাদের গ্রামে তেমনভাবে কোনও উন্নয়ন হয়নি। ওই রাস্তা দিয়ে পায়ে হেঁটে যাওয়া যেত না। একটু বৃষ্টি হলেই এক হাঁটু কাদা হয়ে যেত। আমাদের, আমাদের ছেলেমেয়েদেরও কাদা পেরিয়ে স্কুলে যেতে হয়েছে। রাজেশের জন্যই সেই কষ্টের দিন এবার দূর হচ্ছে।’’ রাজেশের ভাই অভিজিৎ ওরাং বলেন, ‘‘আমাদের এই গ্রাম দাদার জন্য পরিচিতি পেয়েছে। দাদার জন্যই শুরু হয়েছে রাস্তার কাজ। সত্যিই খুব ভাল লাগছে এতদিনে গ্রামের উন্নয়ন হচ্ছে। রাস্তা হলে যাতায়াতের আর সেই কষ্ট থাকবেনা এই গ্রামের মানুষদের।’’