অক্ষত। নিজস্ব চিত্র
চলন্ত ট্রেন ও প্ল্যাটফর্মের মাঝে পড়ে গিয়েছিলেন এক মহিলা যাত্রী। কিন্তু স্নায়ুর উপরে নিয়ন্ত্রণ হারাননি। শরীর কুঁকড়ে ঢুকে পড়েছিলেন রেললাইন আর প্লাটফর্মের মাঝে দেড় ফুট ফাঁকা জায়গার মধ্যে। ট্রেন থামার পরে অক্ষত অবস্থায় বেরিয়ে আসেন শীলা রাজোয়াড় নামে মানবাজারের ওই বাসিন্দা। তাঁর সাহসকে বাহবা জানান প্লাটফর্মে উপস্থিত যাত্রীরা। মঙ্গলবার সকালে ওই ঘটনার সাক্ষী ছিলেন বহু মানুষ।
পুরুলিয়া আরপিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৪৮ মিনিটে ট্রেনটি পুরুলিয়া স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢোকে। নির্ধারিত দু’মিনিট দাঁড়ানোর পরে ট্রেনটি প্লাটফর্ম ছাড়ে। চলন্ত ট্রেনে উঠতে গিয়ে প্ল্যাটফর্ম থেকে পড়ে গিয়েছিলেন ওই যাত্রী।
আরপিএফের পুরুলিয়া পোস্টের ওসি সঞ্জয় হাজরা জানান, ট্রেনটি যখন ছেড়ে দিয়েছে, তখন ওই মহিলাকে ওভারব্রিজের সিঁড়ি দিয়ে নামতে দেখা গিয়েছিল। দৌড়ে ট্রেনে উঠতে গিয়েছিলেন তিনি। ততক্ষণে ট্রেনটির গতি বাড়তে থাকে। একটি কামরার দরজার হাতল ধরে কিছুটা দৌড়ানোর পরে, শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে তিনি পড়ে যান। এক আরপিএফ কর্মী তাঁকে উদ্ধার করতে দৌড়েছিলেন। কিন্তু তিনি পৌঁছনোর আগেই ওই যাত্রী প্ল্যাটফর্ম ও ট্রেনের মাঝের ফাঁক গলে পড়ে যান।
লাইন ও প্ল্যাটফর্মের দেওয়ালের মাঝে ফুট দেড়েক জায়গা থাকে। কোনও রকমে নিজেকে ওই জায়গাটুকুর মধ্যে ঢুকিয়ে নিয়েছিলেন ওই যাত্রী। প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে তাঁকে সাহস যোগাচ্ছিলেন আনন্দ কুমার নামে আরপিএফের এক কনস্টেবল। ততক্ষণে প্ল্যাটফর্মে জড়ো হন অনেক যাত্রী।
আতঙ্কে চিৎকার করছিলেন কেউ কেউ। গার্ডকে খবর পাঠানো হলে ট্রেন থামে। তার পরে উদ্ধার করা হয় ওই মহিলাকে। আরপিএফ জানিয়েছে, ওই মহিলা মানবাজারের বাসিন্দা।ওই ট্রেনে তাঁর আসন সংরক্ষণ করা ছিল। কিছুটা ধাতস্থ হলে তাঁকে ওই ট্রেনেই তুলে দেওয়া হয়। ট্রেনের গার্ড জিএন দাস এ দিন বলেন, ‘‘চালকের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করে ট্রেন থামাই। ওই যাত্রী অক্ষত অবস্থাতেই উদ্ধার হয়েছেন।’’