প্রমাণ: ফুটেজের এই ছবিই সাহায্য করে তদন্তে।
অপরাধ কমাতে শহর জুড়ে একাধিক সিসি ক্যামেরা লাগিয়েছিল জেলা পুলিশ। সেই ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এ বার ভিন্ রাজ্যের দুই ছিনতাইবাজকে ধরল সিউড়ি থানার পুলিশ। কিনারা হল, দিন কয়েক আগে সিউড়ি শহরে দুপুরে ঘটে যাওয়া একটি ছিনতাইয়ের ঘটনার। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম গোপাল যাদব ও পবন যাদব। তাদের বাড়ি বিহারের কাটিহার জেলার কোড়া থানা এলাকায়। শুক্রবার রাতেই ধৃতদের সিউড়ি আনা হয়। শনিবার জেলা মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে তুলে চার দিনের জন্য ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের এক প্রবীণ চিকিৎসক গত ২৫ নভেম্বর শহরেরই একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে, টোটোয় চেপে সিউড়ি বড়বাগানের দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় দুই মোটরবাইক আরোহী টোটোর পাশে এসে ত্রিদিব সেনগুপ্ত নামে ওই চিকিৎসকের হাত থেকে টাকা ভর্তি ব্যাগ ছিনতাই করে চম্পট দেয়। চিকিৎসকের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে সিউড়ি থানার পুলিশ। তবে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং দুষ্কৃতীদের নাগাল পেতে পুলিশের অন্যতম হাতিয়ার ছিল শহরের নানা এলাকায় লাগানো সিসি ক্যামেরার ফুটেজই।
বীরভূমের পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ শনিবার জানান, সিসি ক্যামেরা অপরাধ দমনে ও অপরাধীদের চিহ্নিত করতে খুব সাহায্য করে। সেই কারণেই ভিন্ রাজ্যের দুই অপরাধীকে ধরা সম্ভব হল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সামনে লাগানো সিসি ক্যামেরা, ভদ্রলোক যেখান থেকে টোটোয় উঠেছেন, সেখানে লাগানো সিসি ক্যামেরা এবং ছিনতাই যেখানে হয়েছে, তার কাছে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখেন। দেখা যায়, প্রতিটি জায়গায় একটি মোটরবাইকে সাওয়ার দুই আরোহীর উপস্থিতি রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে ওই দু’জনের যোগ রয়েছে, এই সন্দেহ দৃঢ় হয় পুলিশের। চালকের মাথায় হেলমেটে ঢাকা থাকলেও পিছনে বসা আরোহীর মাথা ফাঁকা থাকায় দিব্যি চেনা যাচ্ছিল। সেই ফুটেজের সূত্র এবং জেলার বিভিন্ন থানায় মজুত অপরাধীদের রেকর্ড থেকে পরিচয় জেনে বিহার রওনা হয় সিউড়ি পুলিশের একটি দল। অপরাধীরা ধরা পড়ে। পুলিশের দাবি, জেলায় ও রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাইয়ের সঙ্গে গোপাল ও পবন যুক্ত। জেরার মুখে সিউড়িতে ছিনতাই করার কথা কবুল করেছে ধৃতেরা। টাকা উদ্ধার এখনও বাকি। বাকি শিকড় কতটা গভীরে সেটা জানতে, ধৃতদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।